মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
আগস্ট ০৭, ২০২১
০৮:০৬ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৭, ২০২১
০৮:০৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলার ৫টি পৌরসভা ও ৬৭টি ইউনিয়নের ১১২টি কেন্দ্রে একযোগে গণটিকা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) সকাল ৯টায় মৌলভীবাজার পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ মোস্তফা কলেজ কেন্দ্রে গণটিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।
মৌলভীবাজার পৌরসভার উদ্যোগে ও সিভিল সার্জন অফিসের সহযোগিতায় পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মুহিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ।
জানা যায়, একদিনের গণটিকা কার্যক্রমে মানুষের মধ্যে এতটাই আগ্রহ ছিল যে সকাল ৯টার আগে কেন্দ্রে টিকা গ্রহণকারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। অনেক কেন্দ্রে বরাদ্দকৃত টিকারা চেয়ে টিকা গ্রহণকারীর উপস্থিতি ছিল দ্বিগুণ। মৌলভীবাজার সদর পৌরসভাসহ ৫টি পৌরসভার ৪৫টি কেন্দ্রে টিকা প্রদান করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ ছিল। এসব কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১১টার মধ্যে বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যায়।
এছাড়া জেলার ৬৭টি ইউনিয়নের ৬৭টি কেন্দ্রে একইভাবে আগ্রহ নিয়ে সকাল ৯টার আগেই উপস্থিত হন টিকা গ্রহণকারী মানুষ। এসব ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ভিড় সামলাতে ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে স্বেচ্ছাসেবকদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়।
মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো. ফজলুর রহমান জানান, গণটিকার সফলতা আনতে পৌরসভার কাউন্সিলর ও গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। মাইকিংসহ ব্যাপক করেছেন গণটিকা কেন্দ্রে আসার জন্য। পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে ১ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ ছিল। তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। সকল ধরনের প্রস্তুতি ছিল। টিকা থাকলে প্রতিটি কেন্দ্রে আরও অন্তত ৪ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া যেত। কেন্দ্রগুলোতে নিম্ন আয়ের মানুষের উপস্থিতি বেশি ছিল।
সিভিল সার্জন ডা. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ জানান, গণটিকা কার্যক্রমের জন্য মৌলভীবাজার জেলায় ৪৮ হাজার ৮০০ ডোজ টিকা বরাদ্দ আসে। জেলায় একদিনের জন্য এ কার্যক্রম ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ১১২টি কেন্দ্রের বরাদ্দকৃত টিকা শেষ হয়ে যায়। বরাদ্দ শেষ হওয়ায় অনেকেই গণটিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা দিতে পারেননি। টিকার বরাদ্দ ও সরকার থেকে সিদ্ধান্ত এলে আবারও গণটিকা শুরু হবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, জেলা পুলিশ, আনসার, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন ও মেম্বার, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগসহ গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গণটিকায় সফলতা অর্জন হয়েছে। আগামী ১৪ আগস্ট গণটিকার কার্যক্রম এ জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় আবারও অনুষ্ঠিত হবে।
এসএইচ/আরআর-০৫
