বড়লেখায় ভেঙে পড়েছে হাজতখানার নিরাপত্তা প্রাচীর

বড়লেখা প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
০৭:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
০৭:৪০ অপরাহ্ন



বড়লেখায় ভেঙে পড়েছে হাজতখানার নিরাপত্তা প্রাচীর

মৌলভীবাজারের বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (চৌকি আদালত) আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের প্রায় ৭০ ফুট নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে চাপা পড়েছে মামলার জব্দকৃত আলামত দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা।

এর আগে চলতি বছরের ২৮ মে ভোরে আদালতের হাজতখানার উত্তর দিকের প্রায় ৩০ ফুট নিরাপত্তা প্রচীর ভেঙে পড়েছিল। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়ে হাজতখানা। পরে থানা পুলিশের উদ্যোগে ওই অংশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়।

আদালত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে আদালতের হাজতখানার পশ্চিম দিকের প্রায় ৭০ ফুট নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় আদালত এলাকায় রাখা মামলার আলামত দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার ১টি চাপা পড়ে সম্পূর্ণ ও ১টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ সময় প্রাচীরের পাশে কেউ না থাকায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ায় বিচারাধীন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার জব্দকৃত আলামত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় বড়লেখার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (সিএসআই) মো. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাতে বড়লেখা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (নম্বর-১০৮১)।

আদালত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (সিএসআই) মো. মুজিবুর রহমান আজ শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন, নীরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে পড়ায় মামলার সংরক্ষিত আলামত রক্ষণাবেক্ষণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। ভবন ও দেয়াল অনেক পুরোনো। ঝুঁকি নিয়ে আমরা কাজ করছি।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে তৎকালীন সরকার উপজেলা আদালত পরিচালনার জন্য জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বড়লেখায় আদালত ভবন নির্মাণ করে। নব্বইয়ের দশকে এক সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের শেষদিকে সরকার দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত থাকা ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়। ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ এই ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে অনেকের উপরে পড়েছে। এমনকি বিচারকের এজলাসে বিচারকাজ চলাকালীন সময় ছাদের পলেস্তারা ও খোয়া ভেঙে আইনজীবীদের মাথায় পড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ভবনটির দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে ফাটল। বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে মূল্যবান নথিপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। যে কোনো সময় ভবনের দেয়াল ও ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।


এজে/আরআর-০৪