বড়লেখা প্রতিনিধি
সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
১০:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১
১০:৫৭ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় ৮ বছরের এক শিশু ও ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের দুজনকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিশুর মায়ের করা মামলায় পুলিশ রেজাউল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রেজাউল উপজেলার কলারতলিপার এলাকার লোকমান উদ্দিনের ছেলে। তিনি ওই শিশুর চাচার ঘরে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।
জানা গেছে, শনিবার দুপুরে ওই শিশু বাড়ির অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। এ সময় রেজাউল ইসলাম তাকে ডেকে বাড়ির পার্শ্ববর্তী নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে শিশুটি বাড়িতে ফিরে বিষয়টি তার মাকে জানালে তারা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। শনিবার সন্ধ্যায় শিশুর মা রেজাউলকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলার পরই রাত ৯টার দিকে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুব্রত কুমার দাস ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ অভিযান চালিয়ে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেন।
অন্যদিকে, উপজেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ওই কিশোরীর মা গত শুক্রবার শাহান আহমদকে (২৬) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। শাহান উপজেলার পেনাগুল গ্রামের মৃত আব্দুল আহাদের ছেলে।
জানা গেছে, ওই কিশোরীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত শাহান আহমদ। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই কিশোরীর মা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরদিন শুক্রবার কিশোরীর মা শাহান আহমদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ বলেন, দুটি ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থানায় মামলা করেছে। এর মধ্যে শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা পরই পুলিশ এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এজে/আরআর-০২