রফিকুল হক দাদু ভাই আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ১০, ২০২১
১২:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১০, ২০২১
০৫:৪৬ অপরাহ্ন



রফিকুল হক দাদু ভাই আর নেই

রফিকুল হক দাদুভাই

জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক, ছড়াকার, শিশু সংগঠক, নাট্যকার ও প্রবীণ সাংবাদিক ও চাঁদের হাটের প্রতিষ্ঠাতা রফিকুল হক দাদু ভাই আর নেই। ( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ রবিবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় নিজ বাসায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রফিকুল হক দাদু ভাইয়ের ঘনিষ্ঠজন ও ছড়াশিল্পী রিপন আহমদ ফরিদী। মরহুমের জানাজার নামাজের স্থান ও সময় পরে জানানো হবে।

১৯৩৭ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুরের কামাল কাছনায় জন্ম নেওয়া রফিকুল হকের। তার দুই ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে দেশের বাইরে থাকেন।

সত্তরের দশকে গড়া শিশু কিশোরদের সংগঠন ‘চাঁদের হাটে’র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দাদুভাই যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তার পরিকল্পনা এবং তত্ত্বাবধানে দৈনিক পূর্বদেশে ‘চাদের হাট’ নামে ছোটদের একটি পাতা বের হত। তখন থেকে তিনি ‘দাদু ভাই’ নামে পরিচিতি পান। পরেই ১৯৭৪ সালে ‘চাঁদের হাট’ নামে শিশু সংগঠন গড়ে তুলেন।

১৯৭২ সাল দেশে প্রত্যাবর্তনের পর চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু লন্ডন যান। তার দেশে ফিরে আসা উপলক্ষে সে সময়ের বহুল প্রচারিত দৈনিক ‘পূর্বদেশ’ একটি বিশেষ সংখ্যা বের করে। ওই পত্রিকার প্রথম পাতায় বঙ্গবন্ধুর ছবির সঙ্গে ‘ঘরে ফিরা আইসো বন্ধু’ শিরোনামে একটি কবিতা ছাপা হয়, যা খুবই আলোচিত হয়।

বাংলা শিশু সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রফিকুল হক দাদুভাই ২০০৯ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, একই বছর বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার, চন্দ্রাবতী একাডেমি পুরস্কার, নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য পুরস্কারসহ দেশে এবং দেশের বাইরে বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন।

জানা গেছে, গত বছর পরপর দুইবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে কর্মস্থল যুগান্তরে যোগ দিলেও বার্ধক্যসহ নানা জটিলতায় প্রায় ছয় মাস আগে মুগদার বাসায় পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। 

তিনি যুগান্তরের ফিচার সম্পাদক ছাড়াও ওই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নব্বই দশকে প্রতিষ্ঠিত দৈনিক রুপালীর নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে দৈনিক জনতার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। কাজ করেছেন দৈনিক লাল সবুজ, আজাদ, বাংলাদেশ অবজারভারে।

সত্তর দশকে শিশু কিশোরদের জনপ্রিয় ‘কিশোর বাংলা’ নামের সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকও ছিলেন তিনি।

আশির দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ‘নিধুয়া পাথার কান্দে’ নামে একটি নাটক লিখছিলেন তিনি, যা পরে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ‘বর্গি এলো দেশে’সহ তার প্রকাশিত বাইয়ের সংখ্যা ৭টি।


এএফ/০২