কুলাউড়া প্রতিনিধি
নভেম্বর ০৬, ২০২১
০৩:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৬, ২০২১
০৩:১১ পূর্বাহ্ন
কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নে বাঘ আতঙ্কে রয়েছেন চার গ্রামের মানুষ। সকালে মানুষের উপর আক্রমণ করায় শিশুদের মক্তবের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে পড়েছে। একাধিকবার সংঘবদ্ধভাবে বাঘের উপর হামলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন থেকে উপজেলা ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের সাতরা, নাছনী, রাজাপুর ও পশ্চিমজালালাবাদ (সাত নম্বর) এলাকায় একটি (চিতা আকৃতির) বাঘ অবাধে বিচরণ করছে। মানুষের ছাগল, রাজহাঁস, মোরগ মেরে ফেলছে।
গত বুধবার সকালে সাতরা গ্রামের আবুল কালামের ছেলে রাব্বি (১৪) ঘাস কাটতে বাড়ির পাশের জমিতে গেলে বাঘের আক্রমনের শিকার হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে বাঘ তাদেরকেও ধাওয়া করে। ফলে বাঘ আতঙ্কে ঘুম নেই স্থানীদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সাতরা গ্রামের জলিল মিয়ার একটি ছাগল বাড়ির পাশের জমিতে মরে পড়ে দেখতে পান এলাকাবাসী। ছাগল মারা যাওয়ার কারণ খোঁজতে লাগলে ছাগলের ঘাড়ের দিকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। আঘাতের চিহ্ন দেখে কৌতুহল থেকে একটি মোবাইল ফোন ক্যামেরা অন করে ভিডিও রেকর্ডে দিয়ে একটি গাছে রেখে দেওয়া হয়। রেকর্ড হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায় কিছুক্ষণ পর আবার বাঘটি ছাগলের পাশে আসে। এতে স্থানীয় লোকজন প্রাণীটি বাঘ বলে নিশ্চিত হন। এটা দেখতে অনেকটা চিতা বাঘের মত। বাঘটি হাঁস, ছাগল ও কুকুরকেও আক্রমণ করে মেরে ফেলছে বলে জানান স্থানীয়রা।
নাছনী গ্রামের সুনাই মিয়া বলেন, কয়েকদিন আগে আমার একটি রাজহাঁস মেরেছে। দিনে-রাতে এখন এলাকার মানুষজন আতঙ্ক নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। গত দুইদিন থেকে আর কোনো পশু-পাখিকে আক্রমণ না করলেও মাঝে মধ্যে পথচারীদেরও ধাওয়া করছে। প্রথমে মানুষ এটাকে শিয়াল কিংবা নেকড়ে বাঘ মনে করেছিল। কিন্তু মোবাইলে ভিডিও ধারণের পর অনেকেই চিতা বাঘ বলে মনে করছেন। মানুষকে ধাওয়া করার পর থেকে এসব এলাকার মানুষকে সংঘবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করতে হয়।
জিএইচ/আরসি-২১