মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
নভেম্বর ০৭, ২০২১
০৬:৪৬ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৭, ২০২১
০৬:৪৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।
নিহত দুই জন কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
রবিবার (৭ নভেম্বর) সকালে র্যাব ৯ এর শ্রীমঙ্গল ব্যাটেলিয়ানের কমান্ডার বসু দত্ত চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ভোর রাতে শ্রীমঙ্গলের মিরতিঙ্গা চা বাগান এলাকায় র্যাবের গাড়ী লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। আত্মরক্ষায় র্যাবও পাল্টা গুলি করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত দুজনের পরিচয় নিশ্চিত করে কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান বলেন, নিহতদের দুই জনই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। বন্দুকযুদ্ধে নিহত একজন নাজমুল হত্যার ২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি তোফায়েল মিয়া (৩৫)। আরেক জন শহিদ মিয়া।
এ বিষয়ে শ্রীমঙ্গল র্যাব-৯ এর স্কোয়াড কমান্ডার সুমেন মজুমদার বলেন, আমাদের ৩ জন র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।
শ্রীমঙ্গল থনায় অফিসার ইনচার্জ শামীম অর রশীদ তালুকদার জানান, নিহত ২ জনকে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাটে গত ৩১ অক্টোবর সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে এসে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ী নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে সিলেটের উইম্যান্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাজমুল মারা যান।
মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে নাজমুল জানিয়েছিলেন, হামলাকারীদের মধ্যে চারজনকে চিনতে পেরেছেন। তারা হলেন- স্থানীয় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ ও তোফাজ্জল।
নাজমুলের মৃত্যুর পর তার বড় ভাই শামছুল হক তোফাজ্জলকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১৮ জনের নামে মামলা করেন।
এ ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কালো একটি মাইক্রোবাসে আসা ৯ ব্যক্তি নাজমুলকে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে নিজ বাড়ির সামনে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নাজমুল। তখন নাজমুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় সন্ত্রাসীরা।
এস এইচ/বি এন-০১