শ্রীমঙ্গলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৫, ২০২১
০৫:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২১
০৫:২৬ অপরাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

আসন্ন ২৮ নভেম্বর শ্রীমঙ্গল পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মহসিন মিয়া বলেছেন, প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা মার্কার প্রার্থীর অব্যাহত আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগ ও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

প্রতিপক্ষের সমর্থকরা শত শত মটরসাইকেল নিয়ে আমার বাসার সামনে মহড়া দিয়ে, পটকা ফাটিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। প্রকাশ্য মিছিল করে আমার পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার শ্লোগান দিচ্ছে-এতে করে ভোটারদের মনে ভীতির সৃষ্টি করছে।

সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এমন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বর্তমান মেয়র মহসিন মিয়া এ আহবান জানান।

মেয়র মহসিন মিয়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শ্রীমঙ্গলে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত হয়ে উঠেছে। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা একের পর এক নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন।

গত ২২ নভেম্বর নৌকার সমর্থনে প্রায় ২শ’ মোটর সাইকেল নিয়ে প্রতিপক্ষের কর্মী সমর্থকরা আমার বাসার সামনে মহড়া দিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

এ সময় আমি তিনি অভিযোগ করেন, নৌকার কর্মী সমর্থকরা আমার বাসার সামনে ডাক বাংলো রেস্ট হাউস চত্ত্বরে উচ্চস্বরে মাইকে মিউজিক এবং মাইকে আমার বিরুদ্ধে অশালীন গালিগালাজ করছে। সর্বশেষ গত ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কেন্দ্রে এজেন্ট নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক নৌকা প্রতীকের কর্মী পরিচয়ে নোমান, আকবর হোসেন শাহীন, তানভীরসহ ১০/১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমার ২ কর্মীকে গুহ রোডের নৌকার নির্বাচনী অফিসে ধরে নিয়ে মারধর করে। ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক টাকা বিতরণ করার মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ফেসবুকে প্রচার করে। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। এরপর ছাত্রলীগ কর্মীরা কোর্ট রোডে আমার সমর্থক অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জাহাঙ্গির হোসেন এর বাসায় হামলা করে।

তিনি আরো অভিযোগ বলেন, আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান নৌকার সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নিয়ে কিভাবে ‘ভোট কেন্দ্র দখলে নিতে কর্মী সমর্থকদের প্রকাশ্য নির্দেশ’ দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে থানা পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছি না। আমার বাসার সামনে ডাক বাংলো সরকারী রেস্ট হাউস, সরকারী যানবাহন নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করছেন নৌকার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা।

আওয়ামীলীগ সমর্থিত মৌলভীবাজার জেলা  পরিষদের চেয়ারম্যান ও কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, বিয়ানিবাজার পৌরসভার বহিরাগত মেয়রগণ সরকারী যানবাহনে নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে পদ পদবী ব্যবহার করে শ্রীমঙ্গল এসে নির্বাচনী প্রচারণা কাজে অংশ নিচ্ছেন। যা নির্বাচনী আচরণ বিধির সুস্পষ্ট লংঘন হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। আমার বাসার সামনে ছাত্রলীগের কর্মীরা শত শত মটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিলেও স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি। অন্যদিকে, আমার সমর্থক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষে মিছিল করলে তাদের জরিমানা করা হয়। আমার ছেলের ব্যক্তিগত কারে স্টিকার লাগানোর কারনে জরিমানা করা হয়েছে। এসব বিষয়ে আমি ৫ দফায় জেলা নির্বাচন অফিসারকে লিখিত এবং পুলিশ সুপার, উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশকে মৌখিক অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না।

জি কে/বি এন-১০