মহামারির দুঃখ-বেদনা ভুলে স্বাগত নতুন বছর

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ০১, ২০২২
০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০১, ২০২২
০৩:৩৮ অপরাহ্ন



মহামারির দুঃখ-বেদনা ভুলে স্বাগত নতুন বছর

বৈশ্বিক করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই মহাকালের আবর্তে বিলীন হতে যাচ্ছে আরও একটি বছর। অন্যদিকে, মহামারির আতঙ্ক নিয়েই আগের বছরের  দুঃখ-বেদনা ভুলে নতুন আশা নিয়ে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশও নতুন বছর বরণ করে নিতে প্রস্তুত।

শুক্রবার মধ্যরাতের পর ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২১ মুছে, যুক্ত হয়েছে ইংরেজি ২০২২ সাল। সকালে খ্রিষ্টীয় নতুন বছরের সূর্যোদয়ের আগেই রাত ১২ টায় পুরোনো বছরের নানা স্মৃতি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনাকে বিদায় জানিয়ে বরণ করা হয়েছে নতুন বছরকে।

২০২২ সালকে স্বাগত জানিয়ে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।

দুইবছর আগে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে ২৮ কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫৪ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বিশ্বজুড়ে আবার গত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ওমিক্রন নামে করোনার আরেকটি ধরন ইতিমধ্যেই উদ্বেগ বাড়িয়ে চলছে। এ কারণে অনেক দেশ ইংরেজি নববর্ষের উৎসব বাতিল করছে ।

ইংরেজি নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনায় থার্টি ফার্স্ট নাইটে ইংরেজি নববর্ষকে বরণ উপলক্ষে উন্মুক্ত স্থানে কোন অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এতে মহামারির কারণে থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানসমূহ উদ্‌যাপন করতে নগরবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং উন্মুক্ত স্থানে কোন ধরনের জমায়েত অথবা সমাবেশ বা উৎসব না করা এবং  উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদ্‌যাপন উপলক্ষে কোন ধরণের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিষেধ করা করা হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের আতশবাজি বা পটকা ফোটানো যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়।

নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া। স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি করোনা মুক্ত বিশ^। তবে, করোনার টিকা ছাড়াও অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনাসহ মানবসম্পদ তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে  গত বছরের মতো আগামী বছরের মোটা দাগের চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশ আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে, এটাই নতুন ইংরেজি বছরে সবার প্রত্যাশা।

এএফ/০১