সেই ইউএনওকে ওএসডি

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৫, ২০২২
০৭:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২২
০৯:১৮ অপরাহ্ন



সেই ইউএনওকে ওএসডি

নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে

সাংবাদিককে গালিগালাজের ঘটনায় টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ কায়সার খসরুকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

আজ সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার টেকনাফের হ্নীলা হোয়াব্রাং এলাকার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহারের ঘর নির্মাণ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদকে গালিগালাজ করেন ইউএনও খসরু। সেই অডিও কলের রেকর্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রায় ৫০০টি উপজেলার ৫০০ জন লোকের (ইউএনও) মধ্যে সবাই ভালো হবে, সেটা আপনি কীভাবে আশা করেন? আমাদের প্রতি নির্দেশনা আছে তাকে ওএসডি করে নিয়ে এসে তার বিরুদ্ধে আদালত কী নির্দেশনা দেন সে অনুযায়ী অ্যাকশন নেওয়ার জন্য।’

‘গতকাল কনফারেন্সে আমরা বিষয়টা শক্তভাবে কমিশনারদের বলে দিয়েছি। তারা যে যে জেলাতে যাবেন, সব অফিসারদের নিয়ে বসবেন। কারো সঙ্গে আপনি এভাবে কথা বলতে পারেন না। আপনি যত উপরের দিকে থাকবেন তত মাথা ঠাণ্ডা রেখে কথা বলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি আপনি একজন অসভ্য লোক। দ্যাট ইজ এনাফ। এরপরে কি আজেবাজে কথা বলার দরকার আছে? একটা লোককে যদি আমি খারাপ বলতে চাই, এই লেভেলে দিস ওয়ার্ড ইজ এনাফ। ওই ল্যাঙ্গুয়েজ কেন ইউজ করতে হবে?’

এদিকে সাংবাদিকের সঙ্গে ইউএনওর ফোনালাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তীব্র সমালোচনা হয়। পরদিন শুক্রবার হিলডাউন সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় টেকনাফ ইউএনও খসরু এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান।

তবে এ ঘটনায় গতকাল রোববার উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, একজন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য ও আপত্তিকর। কোনো ‘মাথা খারাপ’ ব্যক্তি ছাড়া এ ধরনের ভাষা কেউ ব্যবহার করতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আদালতকে তা জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।


এএফ/০৩