কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ১৭, ২০২২
১১:৪৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২২
০৭:৫১ অপরাহ্ন



কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি

বরেণ্য কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই কবি।

কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শামসুর রাহমান স্মৃতিপরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ “প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে” প্রকাশের পরপরই তিনি সচেতন পাঠকমহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তার পরের গ্রন্থগুলোও আকৃষ্ট করে পাঠকদের। তার “আসাদের শার্ট” কবিতায় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান যেন সচিত্র রূপ পায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে শামসুর রাহমান সপরিবারে তাদের পৈতৃক বাড়ি নরসিংদীর পাড়াতলী গ্রামে চলে যান। এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বেদনামথিত হয়ে লেখেন “স্বাধীনতা তুমি” ও “তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা”সহ বেশকিছু কবিতা।

স্বাধীনতার পর পঁচাত্তর-পরবর্তী পট পরিবর্তনে আশাহত কবি সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে তার কলম চালিয়েছেন নিরন্তর। গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণের আকাঙ্ক্ষায় তিনি ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামের শুভ্র পুরুষ।

শামসুর রাহমানের ষাটের বেশি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়ও শিশুতোষ, অনুবাদ, ছোটগল্প, উপন্যাস, আত্মস্মৃতি, প্রবন্ধ-নিবন্ধের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

সাংবাদিক হিসেবে কবি শামসুর রাহমান ১৯৫৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন দৈনিক মর্নিং নিউজ-এ। ১৯৭৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে সামরিক সরকারের শাসনামলে তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। এরপর তিনি অধুনা নামের একটি মাসিক সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

শামসুর রাহমান আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পেয়েছেন।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর ঢাকার মাহুতটুলিতে জন্ম নেওয়া এই কবিকে তার ইচ্ছানুযায়ী ঢাকার বনানী কবরস্থানে, মায়ের কবরের পাশে সমাহিত করা হয়।

১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে শামসুর রাহমান স্মৃতিপরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও কবির পরিবার।

আরএম-০২