জুড়ী প্রতিনিধি:
অক্টোবর ১৩, ২০২২
০২:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১৩, ২০২২
১০:৫৮ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে আপন চাচাতো বোনকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) গভীর রাতে থানার এসআই খাইরুল আলম বাদলের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
আটককৃত মাসুক মিয়া (৪৮) উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের রানীমুরা বীরগুগালি গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর বিকেলে মাসুক ও তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার ভুক্তভোগীর বাড়ীতে বেড়াতে যায়। সেখানে মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ভুক্তভোগী ওই নারীকে তার নিজ বাসায় নিয়ে আসে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী রাতে সাড়ে বারোটার দিকে ভুক্তভোগীকে একটি কক্ষে ডেকে নেয়। পরে নিজের মেয়েকে ইশারা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখানেই ভোর রাত পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরিবারের অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই নারী চিৎকার করলেও পাশের কক্ষে থাকা দুই স্ত্রী ও মেয়েসহ কেউই তাকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি। ধর্ষনের বিষয়টি কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
পরদিন ভুক্তভোগী তার ভাইকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী নারীর বড় ভাই সিলেট মিররকে বলেন, অভিযুক্ত মাসুক একজন লম্পট ও নারীলোভী। সে অনেক অসহায় ও নিরীহ মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। আমরা লম্পট, নারীলোভী ও চিহ্নিত এ মাদক ব্যবসায়ীর কঠোর শাস্তি চাই।
এদিকে, এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। ধর্ষকের ফাঁসির দাবি জানিয়ে নেটিজেনদের অনেকেই পোস্ট করছেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার সকালে থানার এসআই সৈয়দ আব্দুল মান্নান জানান, গ্রেফতারকৃত মাসুক মিয়াকে বিজ্ঞ আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
এ ব্যাপারে জুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত মাসুক মিয়াকে পুলিশের একটি টিম গ্রেফতার করে। নিরাপদ সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এমন ঘৃন্য অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএম-০৮
