হায় সোনালী প্রজন্ম!

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ০২, ২০২২
০২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০২, ২০২২
০২:০৪ পূর্বাহ্ন



হায় সোনালী প্রজন্ম!

কোর্তোয়া, হ্যাজার্ড, ডি ব্রুইনা, লুকাকু—কত নামের ভারে সমৃদ্ধ বেলজিয়াম। এই সোনালী প্রজন্মের সামনে শেষ সুযোগ ছিল বিশ্বকাপে কিছু করে দেখানোর। অথচ কি নিদারুণ বিদায়, তাও গ্রুপ পর্ব থেকে। মরক্কোর কাছে প্রথম ম্যাচে হারের ক্ষত শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে দিলো তাদের।

একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকেও পুরনো ধারার ফুটবলে ধুঁকছিল বেলজিয়াম। শূন্য থেকে সেই দলটিকে শীর্ষে তুলে দিয়েছেন দলটির তৎকালীন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মিশেল স্যাবলন। খেলোয়াড়দের উন্নতির পাশাপাশি ফুটবল সিস্টেমে আনলেন আমূল বদল। উঠে আসে বেলজিয়াম ফুটবলের সোনালী প্রজন্ম।

ভিন্ন ক্লাবে খেলা তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দলটি ফিফা র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষে উঠলো। ক্লাব ফুটবল কিংবা জাতীয় দলের হয়েও সবাই দাপিয়ে বেড়াল। কিন্তু বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি অধরাই থেকে গেলো।

সুনির্দিষ্ট কিছু কারণের পাশাপাশি ভাগ্যকেও যদি বেলজিয়ানরা দোষারোপ করে, তাতে সায় না দিয়ে উপায় থাকবে না বোধহয়। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। কোয়ার্টার ফাইনালেই আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে হয় বেলজিয়ামকে। ওই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্টদের কাছে ১-০ গোলের হারে বিদায়। অথচ বিশ্বকাপে সবচেয়ে ফেভারিট দলটির নাম ছিল বেলজিয়ামই।

এরপর ২০১৮, রাশিয়া বিশ্বকাপ। ব্রাজিলকে বিদায় করে এবার সেমিফাইনালে লুকাকুরা। সেখানে দেখা ওই বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের সঙ্গে। ফল আবারও ১-০ গোলে হেরে বিদায়। সেবার অবশ্য তৃতীয় হয়েছিল বেলজিয়াম। বিশ্বকাপে ওটাই দেশটির সর্বোচ্চ অর্জন।

চলতি বিশ্বকাপের শুরুতে বলা হচ্ছিল বেলজিয়ামের সোনালী প্রজন্মের শেষ এখানেই। শেষের পথে লুকাকু, হ্যাজার্ডসহ ব্রুইনা, কোর্তোয়ারা। সবাই পা দিয়েছেন ত্রিশের ওপরে। কানাডার বিপক্ষে জয়ের পর বড় অঘটন, মরক্কোর সঙ্গে হার। শেষ ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ড্র করে বিশ্বকাপ থেকেই বিদায়।

শেষ হলো একটি সোনালী প্রজন্মের গল্প। যে অধ্যায় শুধুই না পাওয়ার হাহাকার আর স্বপ্নভঙ্গের বেদনার। অপেক্ষা নতুন সোনালী প্রজন্মের, যারা এসে হয়তো এই না পাওয়ার অতৃপ্তি পূরণ করবে!


এএফ/০২