বরিশালের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় সিলেটের

খেলা ডেস্ক


জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
০৯:২৪ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
০৯:২৫ অপরাহ্ন



বরিশালের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর জয় সিলেটের


মোহাম্মদ আমিরের করা শেষ বলের আগের ডেলিভারিতে ছক্কা হাকালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে শেষ ওভারে ফরচুন বরিশালের প্রয়োজন দাঁড়ায় ১৫ রানে। বোলিংয়ে আসেন রেজাউর রহমান রাজা। ওয়াইড দিয়ে শুরু করে শঙ্কার মাত্রাটা বাঁড়িয়ে দেন। কেননা স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে যে পাকিস্তানি হার্ড-হিটার ইফতিখার আহমেদ। তবে ইফতিকে প্যাভিলনে ফেরত পাঠান, পরের বলে মিরাজকেও। কিন্তু শেষ বল অবধি শঙ্কা ছিল জয় নিয়ে। সেই শঙ্কাকে হারিয়ে বরিশালের বিপক্ষে ২ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় মাশরাফী বাহিনী।

১৭৪ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং চালায় বরিশাল। পাওয়ার প্লেতে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল তারা। তবে পঞ্চম ওভারে সিলেট অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অভিষিক্ত তানজিম সাকিবকে।

তবে বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম চার বলেই ১০ রান হজম করে ফেলেন তিনি। পঞ্চম বলে আর হতাশ হতে হয়নি তাকে। টুর্নামেন্টে তার করা প্রথম ওভার থেকেই উইকেট শিকার করে নেন। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা সাইফ হাসানকে ফেরান তিনি। নিজের প্রথমের সঙ্গে দলকেও এনে দেন ব্রেক থ্রো। ফেরার আগে সাইফ ১৯ বলে করেন ৩১ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে চারটি ছক্কার মার।

নিজের পরের ওভারে এসে সাকিব ফেরান এনামুল হক বিজয়কে। নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বরিশালকে টেনে তুলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও ইব্রাহিম জাদরান। দুজনে মিলে গড়ে তুলেন ৬১ রানের জুটি। সেই জুটি ভাঙেন রেজাউর রহমান। চৌদ্দতম ওভারের তৃতীয় বলে ইব্রাহিমকে, শেষ বলে সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করেন তিনি। ইব্রাহিম ফেরার আগে চার বাউন্ডারি ও দুই ছক্কায় ৪২ রান করেন। এছাড়া ১৮ বল খেলে সাকিব করেন ২৯ রান।

তাদের বিদায়েও কোনো চাপ ছিল না বরিশালের। কারণ তখনও ক্রিজে টিকেছিলেন ইফতিখার আহমেদ। নিজের প্রথম দুই ওভারে দ্যুতি ছড়ানো তানজিম সাকিব শেষ ওভারে হজম করেন ১৮ রান। অষ্টাদশ ওভারে ইফতি ও মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে তিনটি ছক্কা হজম করেন তিনি। তাতে জয়ের দ্বার অনেকটা খুলে গিয়েছিল ফুরচুনদের।

তবে পরের ওভারের প্রথম বলেই আমির ফেরান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। সেই ওভারের শেষ বলের আগে মেহেদী হাসান মিরাজ লং অন দিয়ে ছক্কা মারেন আমিরকে। তাতে লক্ষ্যের খুব কাছে চলে যায় বরিশাল।

শেষ ওভারে সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফী ভরসা রাখলেন রেজাউর রাজার ওপর। তিনি বল হাতে প্রথম বল ওয়াইড দিলেও পরের বলেই ফেরান ইফতিখারকে। ফেরার আগে ১৩ বলে ১৭ রান করেন তিনি। এরপরের বলেই বরিশাল হারায় মিরাজের উইকেট। তবে পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে ড্রয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন মোহাম্মদ ওয়াসিম। শেষ বলে আরেকটি ছয় পেলেই খেলা গড়াত সুপার ওভারে। তবে সেদিকে আর যেতে দেননি রাজা। চার মারলে দুই রানের জয় নিশ্চিত হয় সিলেটের।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্স ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৮৯ রানের ইনিংস খেলে জিতে নিয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।


এএফ/০৬