খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের আবেদন

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
০৪:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩
০৮:৪২ অপরাহ্ন



খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে ফের আবেদন


রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিতই রয়েছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য, তার অবস্থা এখনও স্বাভাবিক নয়। পেটে পানি বেড়ে যাওয়া, লিভারের জটিলতাসহ কয়েকটি পুরনো রোগ দেখা দিয়েছে। এজন্য বিদেশি নিয়ে চিকিৎসা করাতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে আবেদন করেছে।

বিএনপি সূত্রে জানা যায়, খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আবেদনটি করেন তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আবেদনের বিষয়টি  স্বীকার করেছেন শামীম ইস্কান্দার। তিনি জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি আবেদন করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার জানান, আবেদন করার বিষয়টি তিনি শুনেছেন।

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, লিভার ও কিডনি সমস্যা আরও জটিল হওয়ায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে তার চিকিৎসকেরা শঙ্কিত।

এক মাস ধরে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন। নানা শারীরিক জটিলতা নিয়ে গত মাসের ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।

বৃহস্পতিবার রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন সেখানে।

ওই রাতে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, খালেদা জিয়াকে দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার এখনও আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। একাধিক সমস্যা একসঙ্গে দেখা দেওয়ায় সংকট বেড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বহুমুখী সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া প্রয়োজন। যা বাংলাদেশে নেই। তার পরিবারকে বোর্ডের এই পরামর্শ জানানো হয়েছে।

তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ক্যালসিয়াম পটাসিয়াম ও রক্তের হিমোগ্লোবিনসহ স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্যারামিটার ওঠানামা করছে। কিছুটা উন্নতি হলে ফের কমে যাচ্ছে মাত্রা। এখনও পেটে পানি আছে। তবে তা সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টেস্টের রেজাল্ট দেখে ওষুধ ও খাবারে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শ্বাশুড়ির সেবার জন্য আগামী সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ছোট পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ঢাকায় আসবেন।

এরই মধ্যে ৫৮২ জন বিশিষ্ট নাগরিক খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক নেতারাও অনুরূপ আহ্বান জানিয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দী হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন।


এএফ/০৫