জীবন পেয়ে রাহুলকে নিয়ে ভারতকে জেতালেন কোহলি

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ০৮, ২০২৩
১০:৪৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৮, ২০২৩
১০:৪৪ অপরাহ্ন



জীবন পেয়ে রাহুলকে নিয়ে ভারতকে জেতালেন কোহলি


অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইনিংসের অষ্টম ওভার। ভারতকে চেপে ধরেছেন দুই পেসার। ছিনিয়ে নেন তিন উইকেট। সেই ওভারের তৃতীয় বলে জস হ্যাজেলহোডের ডেলিভারিটি বিরাট কোহলির ব্যাটের কানায় লেগে উপরে উঠে যায়। উইকেট রক্ষক মিড উইকেটে ছুটে এসে অনায়াসে ক্যাচ নিতে পারতেন। অ্যালেক্স ক্যারি এসেছিলেনও। কিন্তু তার আগে মিচেল মার্শ পৌঁছে সেটা তালুবন্দী করতে গিয়েও পারেননি। ফসকে যায় হাত থেকে। তারপর গোটা ম্যাচটাই ফসকে যায়।

এক ক্যাচ মিসই বদলে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। তারপর গোটা ম্যাচে কেএল রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে অজি বোলারদের করেছেন শাসন। জয় নিয়ে ফিরতে পারেননি। তবে ভারত ঠিকই তুলে নিয়েছে ৬ উইকেটের জয়। চেন্নাইয়ের চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেন রোহিত শর্মারা।

অথচ ইনিংসের শুরুতে ভারতকে কতটা নাই চাপে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওভারেই পেয়ে যায় তারা উইকেটের দেখা। ওভারের চতুর্থ বলে মিচেল স্টার্কের বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। সেটা খেলতে গিয়েছিলেন ইশান কিষান। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে তা ধরা দিয়েছে স্লিপে। আর তাতেই বিশ্বকাপের দ্রুততম ৫০ উইকেট শিকারীর তালিকায় নাম লেখান এই পেসার। মাত্র ১৯ ইনিংস খেলেই তিনি এই কীর্তি গড়েছেন। এ মাইলফলক ছোঁয়ার পথে তিনি ভেঙেছেন লাসিথ মালিঙ্গার রেকর্ড। ৫০ উইকেট পেতে মালিঙ্গা সময় নিয়েছিলেন ২৫ ইনিংস।

পরের ওভারে রোহিত শর্মা হেজেলউডের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু আম্পায়ার্স কল হওয়াতে ধরতে হয়েছে ড্রেসিং রুমের পথ। একই ওভারের শেষ বলে কভারে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ দেন শ্রেয়াস আইয়ার। ২ রানেই তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। কোনো ব্যাটসম্যানই খুলতে পারেননি রানের খাতা।

তারপর তিনে নামা কোহলি ও পাঁচে নামা কেএল রাহুল জুটি গড়তে থাকেন। তবে দলীয় ২০ রানেই ভাঙতে পারত সেই জুটি। যদি ক্যাচ নিতে পারতেন মার্শ। কিন্তু তিনি পারেননি। সেই কোহলিকে পরে আউট করেছেন হ্যাজেলহোডই। সেটাও ক্যাচ দিয়েই। কিন্তু ততক্ষণে ভারত প্রায় জয়ের বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল। যদিও কোহলিকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করতে পারাটাই অজিদের বড় সাফল্য।

ফেরার আগে কোহলি ৮৫ রান করেছেন। ১১৬ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চারে। ৩৭.৩ ওভারে শর্ট বলটি মিড উইকেট দিয়ে পাড় করতে চেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মার্নাস লাবুশেন লুফে নেওয়ার জন্য যেন উৎ পেতে ছিলেন। সেটা লুফে হতাশ করেন তিনি কোহলিকে।

তবে কোহলি ফিরে গেলেও অন্য প্রান্তে উইকেট আগলে রেখেছিলেন লোকেশ রাহুল। কোহলির বিদায়ের পর তিনিও হাত খুলেন। হার্দিক পান্ডিয়াও নেমেই হাকান ছক্কা। রাহুল মারেন, গোটা ম্যাচেও ছক্কার সংখ্যা ঐ দুটিই। শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি তাদের। রাহুল আর পান্ডিয়া মিলেই জয় নিয়ে ছেড়েছেন মাঠ।

লোকেশ রাহুল অপরাজিত ১১৫ বলে ৯৭ রানে জিতে নিয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। এছাড়া পান্ডিয়া ৮ বলে ১ ছক্কায় ১১ রানে থাকেন অপরাজিত।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩৮ রান খরচায় তিন উইকেট শিকার করেন জশ হ্যাজেলহোড। মিচেল স্টার্ক ৩১ রানে নেন ১ উইকেট।


আরসি-০১