আমি ইসির অন্যায় আচরণের শিকার

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
০১:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
০১:০৪ পূর্বাহ্ন



আমি ইসির অন্যায় আচরণের শিকার
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমানের অভিযোগ


দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আমার মনোনয়ন বৈধ্য হওয়ার কথা থাকলেও ইসি আমাকে এক সপ্তাহ ঝুলিয়ে রেখে বাতিল করেছে। এটা একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে ইসির অন্যায় আচরণ বলে অভিযোগ করেছেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। শুক্রবার বিকালে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।

শুক্রবার বিকেলে সিলেট নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিব বলেন, হাইকোর্টে আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা দিবেন। আশা করি মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিবেন। পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, আমি প্রার্থীতা ফিরে পেলে ৭৫ ভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবো। যদি ভোট নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে জনগণকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো। 

লিখিত বক্তব্যে বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান উল্লেখ করেন, আসন্ন ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে উৎসব মুখর করতে সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাসে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সিলেট-২ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন তিনি। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন অবৈধ করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনে আপীল করা হয়। কিন্তু ইসি বিলম্বে রায় দিয়ে নামঞ্জুর করা হয়। পরে ১৭ ডিসেম্বর তিনি মহামান্য হাইকোর্টে রীট দায়ের করেন এবং ১৮ডিসেম্বর রীটটির আংশিক শুনানী করে ২ দিন পর পরবর্তী শুনানীর জন্য ২০ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য্য করেন। দীর্ঘ শুনানীর পর আবারও মহামান্য হাইকোর্ট আগামী ২৭ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করবেন বলে সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এতে তার অবস্থান এখন ঝুলন্ত রলে অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বি সবাই যেখানে প্রচার অভিযান চালাচ্ছেন তিনি সেখানে আইনী লড়াইয়ে ব্যস্ত। তিনি এখন প্রতীক ছাড়াই নির্বাচনী প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। মেয়র মুহিব জানান, মহামান্য হাইকোর্ট তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষিত করবেন। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে বেশ কয়েকজন পৌর মেয়র পদে থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনেও চারজন পৌর মেয়র পদে থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ৩৩ (১) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে পৌরসভার মেয়র পদে থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন এবং নির্বাচিত হলে তার পদ শূন্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন মহামান্য হাইকোর্ট ২৭ ডিসেম্বর আমার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করবেন বলে তার দৃঢ় বিশ্বাস। 

বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলায় তার কর্মী সমর্থদের প্রতি প্রচার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার এবং কেন্দ্র ভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করার আহবান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ভালোভাবে জানে নির্বাচনে আমাদের সাথে লড়াই করে তাদের জয়যুক্ত হওয়ার কোন সুযোগ নাই। ইনশাআল্লাহ আমরা সকল বাধা বিঘœ অতিক্রম করে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জয়যুক্ত হবো এবং এই নির্বাচনী এলাকার গরীব দুঃখী মেহনতী মানুষের ভাগ্যন্নয়নে সুযোগ পাবো। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কমিউনিটি নেতা খলিলুর রহমান, ওসমানীনগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জাহেদ সুমন, বিশ্বনাথ উপজেলা যুবলীগ নেতা কাউন্সিলর ফজর আলী, যুবলীগ নেতা আক্তার হোসেন, সমাজকর্মী সেলিম মিয়া, মেয়র মুহিবের ছেলে প্রবাসী আদনান মুহিব প্রমূখ। 

এএন/০৩