কুমিল্লার পঞ্চম না বরিশালের প্রথম শিরোপা

খেলা ডেস্ক


মার্চ ০১, ২০২৪
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০১, ২০২৪
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন



কুমিল্লার পঞ্চম না বরিশালের প্রথম শিরোপা
ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে অনুপস্থিত দুই অধিনায়ক


বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের শিরোপা লড়াই আজ শুক্রবার। ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যে ৭টায় ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামছে টানা এক মাসেরও বেশী সময় ধরে চলা দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ ফ্রাঞ্চাইজি- বিপিএল এর দশম আসরের। ম্যাচ শেষে জানা যাবে কে জিতল শিরোপা। কুমিল্লার পঞ্চম না বরিশালের প্রথম শিরোপা।

বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিলে ফাইনালের আগের দিন ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন হলো। আগের রাতে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলে হোটেলে ফেরা বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবালের পক্ষে সম্ভব হয়নি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা। এজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লা অধিনায়ক লিটন দাসও আহসান মঞ্জিলে যেতে পারেননি। তার অনুপস্থিতির কারণ জানিয়েছেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। ফটোসেশনে অংশ নেন দুদলের দুই সহ-অধিনায়ক ফরচুন বরিশালের মেহেদী হাসান মিরাজ ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জাকের আলী

ফাইনালের আগেরদিন পুরোনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে বিপিএলের দুই ফাইনালিস্টের ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশাল দুদলের কোনো অধিনায়ক উপস্থিত ছিলেন না। তাদের প্রতিনিধি হিসাবে অংশ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। নিয়মানুযায়ী, কুমিল্লার অধিনায়ক লিটন দাস ও বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ফটোসেশনে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। লিটনের অনুপস্থিতির কারণ হিসাবে ভ্রমণ ক্লান্তির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তার মতে, এতটা পথ পেরিয়ে যাওয়া-আসার পর আগামীকালকের (আজ) ম্যাচে সেটার প্রভাব পড়তে পারত। ফটোসেশনে লিটনের না-থাকা নিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অবিচার হয়েছে কিনা আমি জানি না। কাল (আজ) আমার ফাইনাল খেলা। এখন আমার অধিনায়ককে ঘুম থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাবেন আড়াই ঘণ্টা জার্নি করে, আবার সে আড়াই ঘণ্টা-তিন ঘণ্টা জার্নি করে এখানে আসবে। তার তো ট্রফি দেখার চেয়ে ট্রফিটা নেওয়ার জন্য প্রস্তুতিটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক না?’

তামিমের দুঃখ প্রকাশ

বিপিএল ফাইনালের আগেরদিন ট্রফি উন্মোচনের জন্য চমৎকার একটি জায়গা বেছে নেয় বিসিবি। তবে আমি সেখানে যেতে পারিনি। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি বিসিবি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব অনুসারীর প্রতি। অধিনায়ক হিসাবে অবশ্যই আমার দায়িত্ব ছিল এরকম একটি আয়োজনে থাকা।

তবে বুধবার রাতে আমরা কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলেছি। ম্যাচ শেষে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা সেরে হোটেলে ফিরতে আমাদের অনেক রাত হয়ে যায়। এরপর ফাইনালে ওঠার আনন্দ উদ্যাপনের জন্য দল থেকে বিশেষ আয়োজন ছিল। পাশাপাশি, অধিনায়ক হিসাবে আমার বাড়তি কিছু ব্যস্ততাও ছিল। সবকিছু শেষ করতেই আমার অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সকাল সাড়ে ৮টায় হোটেল থেকে বের হওয়া তাই সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে। জায়গাটি যেহেতু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, ট্রফি উন্মোচনের আয়োজনটি নির্দিষ্ট ওই সময়েই করার কিছু বাধ্যবাধকতাও ছিল।

আমি ব্যক্তিগতভাবে সব সময় বিপিএলকে অনেক মূল্য দিয়েছি এবং এই টুর্নামেন্টকে উপরে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কখনোই এই টুর্নামেন্টকে কোনোভাবে খাটো করতে চাইনি। বিপিএলের জন্য কোনো কিছু করার সুযোগ পেলে ভবিষ্যতেও এগিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। তবে আজকের (গতকাল) পরিস্থিতিতে আমার কোনো উপায় ছিল না। এজন্য আবারও দুঃখ প্রকাশ করছি।

এএন/০৪