হাওরে গোসলে নেমে সলিল সমাধি শাশ্বড়ি ও পুত্রবধূর

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


জুলাই ১৩, ২০২৪
০২:৫৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৪, ২০২৪
০৯:২৬ অপরাহ্ন



হাওরে গোসলে নেমে সলিল সমাধি শাশ্বড়ি ও পুত্রবধূর


সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলায় হাওরে গোসল করতে নেমে সলিল সমাধি হলো শাশুড়ি রেজিয়া আক্তার ( ৪৫) ও পুত্রবধূ পিপাশা আক্তারের (২০)। উপজেলার জানিয়ারচর গ্রাম সংলগ্ন মুগরাইন হাওরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামে।  

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল বেলা সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তিনটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। 

ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাককবাসী সূত্রে জানা গেছে, জানিয়াচর গ্রামের ফিরোজ আলীর স্ত্রী রেজিয়া আক্তার ও তাঁর ছেলে হক মিয়ার স্ত্রী পিপাসা আক্তার (২০) শুক্রবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে নিজেদের বাড়ির ঘাটে তাঁরা দুজন গোসল করতে যান। ঘাট থেকে পা ফসকে পুত্রবধূ পিপাসা আক্তার মুগরাইন হাওরের স্রোতের টানে গভীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে ‘বাঁচাও’, ‘বাঁচাও’ বলে চিৎকার দেন।  এ সময় শাশুড়ি রেজিয়া পুত্রবধূকে বাঁচাতে হাওরের পানিতে নামলে তিনিও স্রোতের টানে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন। বেলা তিনটার দিকে ওই হাওরে জাল ফেলে হাওরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে ওই দুজনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবায়ের পাশা হিমু বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। আমি জরুরি কাজে এলাকার বাইরে আছি। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিকে জানিয়েছি।

পিপাসা আক্তারের স্বামী হক  মিয়া (২৫) পেশায় মৎস্যজীবী। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার স্ত্রী নয়মাসের অন্তঃস্বত্তা ছিল। আমার মা ও স্ত্রীর মৃত্যুটাকে আমি কোনো অবস্থাতেই মেনে নিতে পারছি না।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শামসুদ্দোহা বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ দুটির সূরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। এ  ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’



এসএ-০১/এএফ-০১