বড়লেখায় কর্মহীন সাড়ে ৭ হাজার পরিবহন চালক

এ জে লাভলু, বড়লেখা


এপ্রিল ১১, ২০২০
০২:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২০
০২:৫৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় কর্মহীন সাড়ে ৭ হাজার পরিবহন চালক
খাদ্য সহায়তা দাবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের মতো মৌলভীবাজারের বড়লেখায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে উপজেলার বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার চালক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এ অবস্থায় তারা সরকারিভাবে খাদ্য সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

বিভিন্ন পরিবহন চালক সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ বাস, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা, ট্রাক, পিকআপ ও ট্রাক্টর চালক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সারাদেশে গণপরিহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়। সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী বড়লেখায় সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় তারা সংসার নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী নিম্ন আয়ের মানুষজন খাদ্যসামগ্রী পেলেও তারা এ ধরণের সহায়তা পাচ্ছেন না।

বড়লেখা উপজেলার অটো-টেম্পু-সিএনজি সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, বড়লেখা উপজেলায় ৩২টি অটোরিকশা স্ট্যান্ড রয়েছে। এসব স্ট্যান্ডে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার চালক আছেন। করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় চালকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্য সহায়তার জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। তাঁর মাধ্যমে ১ টন চাল পেয়েছি। কিন্তু এই চাল ৫ কেজি করে মাত্র ২০০ জনকে দেওয়া যাবে। আরও ৪ টন চাল পেলে কোনোমতে শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করা যেত।

উপজেলা বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল আহাদ বলেন, উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ২শ মতো চালক রয়েছেন। এসব চালকদের বেশিরভাগই গাড়ির আয়ের ওপর নির্ভরশীল। করোনাভাইরাসের কারণে গাড়ি চলাচল বন্ধ আছে। এ কারণে চালকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ২০০ জনকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি। কিন্তু একা সবাইকে দেওয়া তো সম্ভব নয়। এজন্য সরকারিভাবে ত্রাণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

উপজেলা ট্রাক, পিকআপ, ট্যাংক লরি ও ট্রাক্টর সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. জাবের উদ্দিন বলেন, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৫শ চালক রয়েছেন। গত কয়েকদিন থেকে গাড়ি বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় অনেকে পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। আমরা উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা এসব চালকদের তাদের নিজ নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কর্মহীন মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক সবধরণের পরিবহন শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করেছি। তালিকাগুলো ইউনিয়নে ইউনিয়নে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।