ছুটির দাবিতে কমলগঞ্জের ২৩টি চা-বাগানে মানববন্ধন

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


এপ্রিল ১১, ২০২০
০৯:৩৮ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২০
০৯:৩৮ অপরাহ্ন



ছুটির দাবিতে কমলগঞ্জের ২৩টি চা-বাগানে মানববন্ধন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চা-বাগানগুলোতে সাধারণ ছুটির দাবিতে সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ২৩টি চা-বাগানের চা শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

চা শ্রমিকদের প্রতি মানবিক হয়ে তাদের জীবন রক্ষায় অবিলম্বে চা-বাগানে সাধারণ ছুটি ঘোষণার দাবিতে আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে কমলগঞ্জের ২৩টি চা-বাগানে একযোগে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনয়িনের কেন্দ্রীয় কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধকালে সাধারণ ছুটির দাবিতে একযোগে দেশের ২৩০টি চা-বাগানে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

শনিবার সকাল ৯টায় শমশেরনগর চা-বাগান কারখানার প্রধান ফটকের সামনে চা-বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি নিপেন্দ্র বাউরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী।

এ সময় বক্তব্য দেন, চা শ্রমিক ইউনিয়নের মনু-ধলাই ভ্যালির কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল দাশ পাইনকা, চা শ্রমিক নেতা সীতারাম বীন, মোহন রবিদাস ও চা-বাগান কর্মচারী পরিষদের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি তানভীর হাসান।

সকাল সাড়ে ৯টায় আলীনগর চা-বাগান কারখানার প্রধান ফটকের সামনে চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি গনেশ পাত্রের সভাপতিত্বে ও চা ছাত্র যুব পরিষদ নেতা সজল কৈরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রাম ভজন কৈরী, বাংলাদেশ চা-বাগান কর্মচারী ইউনিয়ন আলীনগর ইউনিটের সদস্য দীপক বাড়ই, মাসিক চা মজদুর এর সম্পাদক সীতারাম বীন প্রমুখ।

একই সময়ে চাতলাপুর, মাধবপুর, ফুলবাড়ি, মৃর্ত্তিঙ্গা, পাত্রখোলা, ধলই, মদনমোহনপুর, কুরমা, চাম্পারায় চা-বাগানসহ ফাঁড়ি ও মূল বাগান মিলিয়ে কমলগঞ্জের মোট ২৩টি চা-বাগানে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাম ভজন কৈরী তার বক্তব্যে বলেন, চা-বাগান এলাকা অনেকটা অসচেতন। এখানকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা খুবই নাজুক। আমরা মনে করি, চা-বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশীয় চা সংসদের কর্তাব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীকে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে চা-বাগানের সাধারণ ছুটি বন্ধ রেখেছেন। চা-বাগানে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হলে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এতদিন অপেক্ষার পর ৭ এপ্রিলের জরুরি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার সারাদেশের ২৩০টি চা-বাগানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন চা শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে চা-বাগানে সাধারণ ছুটির দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রেরণ করা হবে। একই সঙ্গে আবার বৈঠক করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।