শ্রীমঙ্গলে শিকারীর বাড়ি থেকে ৬টি বিপন্ন পাখি উদ্ধার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


এপ্রিল ১২, ২০২০
১০:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২০
১০:২২ অপরাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে শিকারীর বাড়ি থেকে ৬টি বিপন্ন পাখি উদ্ধার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সরকারবাজার এলাকার চিহ্নিত শিকারী কবিরাজ জাহাঙ্গীরের বাড়ি থেকে ২টি বিপন্ন ডাহুক, ৩টি ঘুঘু এবং একটি শালিক পাখি উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশের সহায়তায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের অভিযানে এই পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, গোপন সূত্রে জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমের খবর আসে সরকারবাজার রাজপাড়া এলাকার কবিরাজ চিহ্নিত পাখি শিকারী জাহাঙ্গীরের বাড়িতে শিকার করা প্রচুর পাখি রয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশের সহায়তায় শিকারী জাহাঙ্গীরের বাড়ি থেকে পাখিগুলো উদ্ধার করা হয়। আর শিকারী জাহাঙ্গীরকে স্থানীয় ইউপি সদস্যের উপস্থিতিতে আর কোনোদিন পাখি শিকার করবে না মর্মে মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়ে প্রথমবারের মতো ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযানের সময় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি হৃদয় দেবনাথ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সংবাদকর্মী পঙ্কজ কুমার নাগ, রূপক দত্ত, রিমন ইসলাম, সুভাষ দাস তপন এবং শ্রীমঙ্গল থানার এসআই নয়ন কারকুনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল।

প্রাণ-প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি সাংবাদিক হৃদয় দেবনাথ আমাকে অবহিত করেছিল, কিন্তু লাউয়াছড়াতে একটি অভিযান থাকায় আমি যেতে পারিনি। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও হৃদয় দেবনাথের নেতৃত্বে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমের প্রতিটি সদস্য একের পর এক সফল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। আমি জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের এ কাজগুলোকে সাধুবাদ জানাই। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশের প্রতিটি কাজে আমরা বনবিভাগ সবসময় পাশে ছিলাম এবং আছি।  

জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশনের সভাপতি হৃদয় দেবনাথ বলেন, উদ্ধারের পর পরর হাওর এলাকায় ৩টি পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। বাকি ৩টি পাখির ডানা শিকারী কেটে ফেলায় আপাতত এগুলো পাখিপ্রেমী সোহেল শ্যামের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সুস্থ হলে দ্রুতই তাদের মুক্ত করে দেওয়া হবে।

তিনি অনুরোধ করেন, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন টিমকে খবর দিন। প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় আমরা শত ঝুঁকি নিয়েও কাজ করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যেখানেই পাখি শিকার হবে, প্রকৃতির উপর আঘাত আসবে, খবর পেলে তাৎক্ষণিক জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন এর টিম পৌঁছে যাবে ঘটনাস্থলে।