বড়লেখা প্রতিনিধি
এপ্রিল ২০, ২০২০
০১:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২০, ২০২০
০১:২৮ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বড়লেখা ফাউন্ডেশন ইউকে। সংগঠনটির উদ্যোগে বড়লেখা উপজেলার ৬৫০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দেশে থাকা সংগঠনের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রীগুলো বাড়ি বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেছেন।
সংগঠন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ স্কাউটস বয়েস এবং গার্লসের সদস্যদের সহযোগিতায় খাদ্যসামগ্রী প্যাকেট করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে আছে চাল, মসুরের ডাল, পেঁয়াজ, তেল, সাবান ও আলু। আজ রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বারইগ্রামে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কাছে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেলা পরিষদের সদস্য আবু আহমদ হামিদুর রহমান শিপলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান, বিয়ানীবাজারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান, বড়লেখা পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান রাহেনা বেগম হাছনা, থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক, জেলা পরিষদের সদস্য জোবায়েদা ইকবাল, নিজবাহাদুরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক, সদর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, দাসেরবাজার ইউপির চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন, সুজানগর ইউপির চেয়ারম্যান নছিব আলী, তালিমপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, পৌরসভার কাউন্সিলর কবির আহমদ, সাংবাদিক ইকবাল হোসেন স্বপন, লিটন শরীফ, বড়লেখা স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের বাকের আহমেদ, মাহবুবুর রহমান, হুমায়ুন রশিদ, শরীফ উজ্জামান, তাহের আহমেদ, বিপ্লব দাস প্রমুখ।
ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুহেল রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু রহমান এবং সহ-সভাপতি অধ্যাপক সফিকুল হক স্বপন মুঠোফোনে বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যেও আমারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছি। দেশে আমাদের এলাকার অনেক মানুষ করোনা সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। তাদের সহায়তার জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আমরা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সংগঠনের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছিলাম কর্মহীন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। কম সময়ের মধ্যেই ফাউন্ডেশনের সকল সদস্যসহ যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বড়লেখার মানুষ এই আহ্বানে আন্তরিকভাবে সাড়া দেন। আমরা প্রথম দফায় ৬৫০টি পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছি।
এজে/আরআর
