বড়লেখায় ফোন পেয়ে খাবার পাঠালেন ইউএনও

বড়লেখা প্রতিনিধি


এপ্রিল ২৫, ২০২০
০১:৪৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ২৫, ২০২০
০১:৪৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় ফোন পেয়ে খাবার পাঠালেন ইউএনও

দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী তাজ উদ্দিন। ঝাড়ফুঁক করে যা আয় করেন, তা দিয়েই কোনোমতে পরিবার চলছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়ফুঁক করতে পারছিলেন না তিনি। ফলে তার আয়-রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে পড়েন তিনি। কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।

এরই মধ্যে তাজের এক প্রতিবেশী ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে খাদ্য সহায়তা চাইতে বলেন। এরপর ৩৩৩ নম্বরে কল করে তাজ নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান। সেখান থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরানের কাছে খুদে বার্তা (মেসেজ) আসে। এরপর ইউএনও তাজ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে ট্যাগ অফিসারকে পাঠিয়ে তাজ উদ্দিনকে খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১০ কেজি চাল ও নগদ ৫০০ টাকা দেন।

এভাবেই ফোন ও খুদে বার্তা পেয়ে প্রায় শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান। অনেকের সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে রাতের বেলা বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে সবকিছু বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ফলে তাদের আয়-রোজগার বন্ধ। এ অবস্থায় তারা পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এতে অনেকেই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। ফলে নিরুপায় হয়ে অনেকেই হটলাইনে কিংবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোনে কল ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানাচ্ছেন। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের খোঁজ নিয়ে তাদের খাদ্য সহায়তা পাঠাচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান বলেন, তাজ উদ্দিন হটলাইনে কল করে নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান। সেখান থেকে আমার কাছে মুঠোফোনে মেসেজ আসে। পরে আমরা তার পারিবারিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে তাকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছি।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত শতাধিক পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তাদের অনেকেই তার মুঠোফোনে কল করে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন। তাদের অনেকের সামাজিক মর্যাদার কথা ভেবে রাতের বেলা বাড়িতে খাবার পাঠানো হয়েছে।

 

এজে/আরআর