এ.জে লাভলু, বড়লেখা
এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৮:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০
০৮:০২ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় প্রথম একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। তিনি সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন।
তাঁর বাড়ি উপজেলার দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের উত্তর কাশেমনগর গ্রামে। তিনি সমনভাগ চা বাগান বাজারে চা, ছোলা ও পিঁয়াজু বিক্রি করতেন। গতকাল শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাতেই প্রশাসন তাঁর গ্রাম লকডাউন করেছে। ইতিমধ্যে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা তাঁর পরিবার, আশপাশের বাসিন্দা ও একজন পল্লী চিকিৎসকসহ ১২জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এদিকে ওই যুবক কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, আক্রান্ত ওই যুবক ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ ফেরত যে কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারেন। স্থানীয় একটি সূত্র এমন তথ্যই জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, আক্রান্ত ওই যুবক সমনভাগ চা বাগানে বাজারে চা, ছোলা ও পিঁয়াজু বিক্রি করতেন। ওই এলাকার দুই ব্যক্তি গত ৮ এপ্রিল ঢাকা থেকে এলাকায় আসেন। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। এছাড়া ওই ব্যক্তির গ্রাম কাশেমনগর ও আশপাশের গ্রামের কয়েকজন সম্প্রতি গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ থেকে গোপনে এলাকায় এসেছেন। তারা গার্মেন্টেসে কাজ করতেন। তারা গ্রামে ফিরলেও অবাধে এলাকায় ঘোরাফেরা করেছেন। স্থানীয় লোকজন ধারণা করছেন, এলাকায় ফেরা এসব ব্যক্তিদের কারো মাধ্যমে তিনি করোনা সংক্রমিত হতে পারেন। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, আক্রান্ত ব্যক্তি কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছন, তা তারা এখনও নিশ্চিত নন। অবশ্য তারা ধারণা করছেন, করোন আক্রান্ত এলাকা থেকে ফেরা যে কোনো ব্যক্তিদের মাধ্যমে তিনি সংক্রমিত হতে পারেন।
এ বিষয়ে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদীপ বিশ্বাস রবিবার (২৬ এপ্রিল) রাত নয়টায় সিলেট মিররকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি কীভাবে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন তা এভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে তিনি যেহেতু এলাকার বাইরে কোথাও যাননি। হয়তো তিনি করোনা আক্রান্ত কোনো এলাকা থেকে ফেরা কারো মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এক পল্লী চিকিৎসকসহ ১২জনের নমুনা সংগ্রহ করেছি। নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক জ্বর-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ২০ এপ্রিল শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর আগে জ্বর-কাশি নিয়ে তিনি স্থানীয়ভাবে একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। শনিবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এরপর ওইদিন রাত দুইটার দিকে আক্রান্ত ওই ব্যক্তির গ্রাম লকডাউন করে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক রত্নদীপ বিশ্বাস, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াছিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার দুপুরে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার, আশপাশের বাসিন্দা ও একজন পল্লী চিকিৎসকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এজে/বিএ-২৬