বেতন না পেয়ে বিপাকে বড়লেখার ৮০০ শিক্ষক

এ.জে লাভলু, বড়লেখা


মে ১৩, ২০২০
০২:৩০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৩, ২০২০
০২:৩০ পূর্বাহ্ন



বেতন না পেয়ে বিপাকে বড়লেখার ৮০০ শিক্ষক

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় করোনাভাইরাসের প্রভাবে ৭৫টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুল বন্ধ রয়েছে। এতে বেতন পাচ্ছেন না এসব স্কুলের প্রায় ৮০০ শিক্ষক। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা। জরুরি ভিত্তিতে তারা সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।

উপজেলা কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা উপজেলায় ৭৫টি কিন্ডারগার্টেন (কেজি) স্কুল রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থীকে পাঠদান করেন প্রায় ৮০০ শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের প্রাপ্ত আয় দিয়ে শিক্ষকদের প্রতিজনকে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে সম্মানী ভাতা দেওয়া হয়। এছাড়া অভিভাবকদের চাহিদামতো শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়িয়ে বাড়তি আয় করেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেতন বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষকরা প্রাইভেটও পড়াতে পারছেন না। এতে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে অধিকাংশ শিক্ষক বেতন পাননি। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা অনেকটা মানবেতর দিনযাপন করছেন।

সায়পুর মডেল কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক আহমেদ রুয়েল আজ মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে বলেন, শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের টাকায় শিক্ষকদের মাসিক বেতন দেওয়া হয়।  কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে কেজি স্কুলগুলো বন্ধ রয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা মাসিক বেতন দিতে পারছেন না। এ কারণে গত দুইমাস থেকে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বেতন পাননি। এছাড়া শিক্ষকরাও প্রাইভেট পড়াতে পারছেন না। এই অবস্থায় তাদের আয়-রোজগারও নেই। এতে পরিবার নিয়ে তারা কষ্টে রয়েছেন। এ অবস্থায় তাদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া দরকার।

উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তপন চৌধুরী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সব শিক্ষকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাঁরা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। এজন্য জরুরিভাবে অসহায় এই শিক্ষকদের জন্য সরকারি সাহায্য বা প্রণোদণা প্রয়োজন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদের কাছে শিক্ষককের তালিকা চেয়েছেন। আমরা তালিকা দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, কেজি স্কুলের শিক্ষকদের তালিকা চেয়েছি। তালিকা পেলে আমরা তাদের খাদ্য সহায়তা দেব। এর পরও যদি সরকারের আর কোনো নির্দেশনা আসে, তবে আমরা তাদের সহায়তা করব।

 

এজে/আরআর