বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ১৮, ২০২০
০১:০১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ১৮, ২০২০
০১:০১ পূর্বাহ্ন



বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-্উল-ইসলাম।

আজ রবিবার (১৭ মে) তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থমন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের বিএসইসি ও বিআইসিএম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসচিব ড. নাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে তাকে ৪ বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নতুন দায়িত্ব পাওয়ার আগে সাধারণ বীমা করপোরেশনের (এসবিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।

আজ প্রজ্ঞাপন হওয়ার পরপরই তিনি অর্থমন্ত্রণালয়ে যোগদানপত্রে স্বাক্ষর করে কর্মস্থল বিএসইসিতে যান।

শিবলী রুবাইয়াত একজন বিরল সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন মানুষ। এর আগে তিনি একাধিক বাণিজ্য অনুষদের ডিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য, পরিচালক কমিউনিটি ব্যাংক ও এসএমই ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের আহবায়ক। এছাড়া সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এসবিসিসিআই) সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব ব্যাংকিং (ডুয়াব) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই রেখেছেন সাফল্যের স্বাক্ষর। বিশেষ করে সাধারণ বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সংস্থাটিতে নতুন গতি সঞ্চার করেন। ২০১৬ সালে ওই সংস্থার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর প্রতিবছরই প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে বলে সাধারণ বীমা সূত্রে জানা গেছে।

উল্লেখ, গত ১৪ মে বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হয়েছে। তিনি ২০১১ সালের ১৫ মে প্রথম তিন বছরের জন্য বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে দুই দফায় তার মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে শেষ দফায় মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে নানা জটিলতা ও বিতর্ক রয়েছে। তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের বিদেশে অবস্থানের সময় তার অজ্ঞানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় খায়রুল হোসেনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। অর্থমন্ত্রী এর ব্যাখ্যা চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেন। এই চিঠি চালাচালির মধ্যেই মেয়াদ শেষ করে ফেলেন ড. খায়রুল।

এএন/বিএ-১৫