সিলেট মিরর ডেস্ক

নভেম্বর ১৬, ২০২৫
১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০২৫
১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

সিলেট নগরের জিন্দাবাজারে রাধা গোবিন্দ জিউর আখড়া নিয়ে করা মামলা ও পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্টজনদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা যৌথভাবে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

মানববন্ধনে জিতেন দেবনাথে সহধর্মীনি স্মৃতি রানী দেবনাথের রায়ের করা মামলা প্রত্যাহারসহ জিতেনের ছেলে রাহুল বেনাথ, শান্ত দেবানাথ গংদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং পূজা পরিষদ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ ও পূজা পরিষদ মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেবব্রথ চৌধুরী লিটনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় বক্তারা জিতেন দেবনাথ ও স্মৃতিরানী দেবনাথ কর্তৃক মামলা দায়েরের নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে জিতেন ও তার সকল অনৈতিক অপকর্মের সহযোগী স্ত্রী স্মৃতি রানীসহ পরিবারের সদস্যরা মন্দিরের ভূমি আত্মসাতের হীন চেষ্টায় জালজালিয়াতিসহ বিশিষ্টজনের উপর মামলাসহ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে কালিমালেপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দমন না করায় তাদের সাহস বেড়ে গেছে। সেজন্যই তারা সারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট জনের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।’

তারা বলেন, ‘অতীতে ও তারা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বিরাজ মাধব চক্রবর্তীসহ বিশিষ্টজনের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এ সন্ত্রাসী পরিবারের সদস্যদের বিশেষ করে জালিয়াত জিতেনের দুই সন্ত্রাসী  ছেলে রাহুল বেনাথ, শান্ত দেবনাথসহ ভাতুষ্পুত্রদের সমাজবিরোধী অপকর্ম হুমকি ধামকি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে মন্দিরের সেবায়েতসহ ভাড়াটিয়ারা অতিষ্ঠ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন। এদের বিরুদ্ধে মামলা থাকলে ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো গ্রেফতার না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিন্দা জ্ঞাপন করেন।’ 

বক্তারা অবিলম্বে এ মিথ্যা জালিয়াতি মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘অন্যথায় লাগাতার কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।’

সভায় সিলেটের জেলা প্রশাসকের ও পুলিশ কমিশনারের নিকট স্মারক লিপিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়। 

সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, জেলার শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গোপিকা শ্যাম পুরকায়স্থ চয়ন, বাংলাদেশ পরিষদের উপদেষ্টা, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. হিমাদ্রী শেখর রায়, সিলেট খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডিকুম নিঝুম সাংমা মহালয়া উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা জ্যোতিম্ময় সিংহ মজুমদার চন্দন, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন দে, পরিষদের জাতীয় পরিষদ সদস্য সুব্রত কুমার দে, পরিষদ জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিক লাল, পরিষদ জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শৈলেন কুমার কর, মোগলাবাজার থানা পরিষদের সভাপতি মনমোহন দেব, এয়ারপোর্ট থানা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার দেব, পরিষদ জেলার সহসভাপতি ভাষ্কর রঞ্জন াস,  পরিষ, জকিগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সিতেন্দ্র াস, পরিষরে গণ সংযোগ সম্পাদক উজ্জল রঞ্জন চন্দ, বিশ্বনাথ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্ত দে, জেলা ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্যসচিব মিথিন পাল প্রান্ত, শাহপরাণ থানা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আশীষ রায়, মহানগরের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক নন্দন চন্দ্র পাল, কানাইঘাট ঐক্য পরিষদের সাবেক সম্পাদক রিংকু চক্রবর্ত্তী, কানাইঘাট সভাপতি ভজন লাল াস, ক্ষিণ সুরমা সহসভাপতি মিন্টু াস, বালাগঞ্জ ঐক্য পরিষরে সভাপতি ডা. পবিত্র বনিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের জেলা সদস্য কজলক আচার্য্য, ইসকন সিলেট প্রতিনিধি বলদেব কৃপা াস, মহালয়া উযাপন পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক স্বপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার াস, মহালক্ষী ভৈরবী গ্রীবাপীঠের সাধারণ সম্পাক জনার্দন চক্রবর্তী,  গোলাপগঞ্জ পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিপ্টন রঞ্জন তালুকদার, বিশ্বনাথ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি শংকর দাস শংকু, ঐক্য পরিষদ জালালাবাদ থানা সহসভাপতি যোগল কৃষ্ণ গোস্বামী, সহসভাপতি নির্মল কুমার সিনহা, গোপাল টিলা আখড়ার সম্পাদক হিমাদ্রী কর পুরকায়স্থ, শাহজালাল ও মদনমোহন কলেজ শাখার সংসদ সনাতন বিদার্থী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল, জেলা পূজা পরিষদ সিলেটের কোষাধ্যক্ষ বিদ্যুৎ সেন, জেলা পূজা পরিষদের প্রচার সম্পাদক বিমল কান্তি দে, মহানগর পূজা পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অরুন কুমার পাল, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কোতোয়ালী থানা সভাপতি পান্না লাল রায়, পরিষদের সহসভাপতি সুদীপ পুরকায়স্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জীব দত্ত, সিলেট মহানগর ১৮ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি শিমুল চক্রবর্ত্তী প্রমুখ।

এএফ/০৩