করোনা সঙ্কটে পড়া সাংবাদিকদের বিশেষ সহায়তার ঘোষণা তথ্যমন্ত্রীর

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২০, ২০২০
০২:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২০
০২:০৪ পূর্বাহ্ন



করোনা সঙ্কটে পড়া সাংবাদিকদের বিশেষ সহায়তার ঘোষণা তথ্যমন্ত্রীর

মহামারী করোনাভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সঙ্কটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদ্যসমাপ্ত ১৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন মন্ত্রী।

সম্প্রতি চাকরিচ্যুত, ছয় মাস ধরে কর্মহীন বা দীর্ঘদিন বেতন না পাওয়া- এ তিন কারণে সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য দলমত নির্বিশেষে আপদকালীন এ সহায়তার পরিমাণ হবে এককালীন ১০ হাজার টাকা।

করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নানা পেশার মানুষের মতো বহু সাংবাদিকও সমস্যায় পড়েছেন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। সেই প্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতিতে যারা অসুবিধায় পড়েছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য তার নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আজ একটি বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

‘কারা এ তহবিল থেকে সহায়তা পাবে সেটি নিয়েও আমরা বিস্তারিত আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি- যারা সম্প্রতি চাকরিচ্যুত হয়েছে, গত ছয় মাস ধরে যারা বেকার রয়েছেন, আবার যাদের চাকরি আছে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না-তারা এই এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তার আওতায় আসবেন'- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সারাদেশে করোনা সংকটে পড়া সাংবাদিকরা এ সহায়তার আওতায় আসবেন। নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী কারা সহায়তা পাবেন সেটি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন ঠিক করবে।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার হাত ধরেই ২০১৪ সালে এ কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ১৬৭ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৯ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা হিসেবে পেয়েছেন। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার আগেও ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের শেষ পর্যন্ত ৬২৩ সাংবাদিককে তিন কোটি ৮০ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।’

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতি বছর দুস্থ, অসহায়, অসুস্থ সাংবাদিকদের যে সহায়তা দেওয়া হয়, তা অব্যাহত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর সেই খাতে এক কোটি ৯৭ লাখ টাকা সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, আজকের বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ খাতে চলতি বছর দুই কোটি টাকা দেওয়া হবে।

করোনা মহামারিতে বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে ও ইতিমধ্যেই শতাধিক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত এবং তিন সাংবাদিক করোনা মারা গেছেন বলেও জানান তথ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন,‌ ‌'এ সত্ত্বেও সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য তারা এই দুর্যোগ, প্রতিকূলতা ও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও কাজ করছেন, এজন্য সব সাংবাদিককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।'

ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার, ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও পিআইবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যের মধ্যে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (প্রেস) এস এম মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. কাশেম হুমায়ুন সভায় অংশ নেন।

বিএ-১৯