লকডাউন বাড়ছে কিনা, জানা যাবে কাল

সিলেট মিরর ডেস্ক


মে ২৭, ২০২০
০৭:০২ অপরাহ্ন


আপডেট : মে ২৭, ২০২০
০৭:০২ অপরাহ্ন



লকডাউন বাড়ছে কিনা, জানা যাবে কাল

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ঘরে থাকার মেয়াদ ৩০ মে’র পর আরও বাড়ছে কি না, তা বৃহস্পতিবার জানা যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন।

আজ বুধবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী জীবন ও জীবিকার কথা বলেছেন। সেক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করে, সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) একটা সিদ্ধান্ত দেবেন। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) এই সিদ্ধান্তটা আসবে আশা করছি।”

লকডাউন নিয়ে যে সিদ্ধান্তই হোক না কেন, আগামী ৩০ মে ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তা জানাতে হবে বলে মন্তব্য করেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “২৯ ও ৩০ মে শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটি, তার আগে ২৮ মে বৃহস্পতিবার। যেহেতু ৩০ মে’র আগে (লকডাউন নিয়ে) অবশ্যই একটা সিদ্ধান্ত জানাতে হবে, সেহেতু আমরা আশা করি বৃহস্পতিবারই জানতে পারব।”

রোজার ঈদের আগের দিন দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঝড়-ঝঞ্ছা-মহামারী আসবে। সেগুলো মোকবেলা করেই আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজন জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সঙ্কট যত গভীরই হোক, জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে তা উৎরানো কোনো কঠিন কাজ নয়। “এই সত্য আপনারা আবারও প্রমাণ করেছেন। আপনাদের সহযোগিতা এবং সমর্থনে আমরা করোনাভাইরাস মহামারীর আড়াই মাস অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে সমর্থ হয়েছি। যতদিন না এই সঙ্কট কাটবে, ততদিন আমি এবং আমার সরকার আপনাদের পাশে থাকব।”

আগের ছুটির ধারাবাহিকতায় গত ১৪ মে এক আদেশে ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত নতুন করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। ২১ মে শবে কদর, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মের সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটিও এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

পাশাপাশি সবাইকে যার যার বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হলে বিশ্বের আরও অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষও ঘরবন্দি দশার মধ্যে পড়ে। এরপর সেই ছুটির মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়িয়ে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। তবে এর মধ্যে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হয়।

দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে। ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও স্থগিত হয়ে গেছে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে।

এনপি-০৯