পরীক্ষার অভাব ও স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ০২, ২০২০
০৮:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০২, ২০২০
০৮:০১ অপরাহ্ন



পরীক্ষার অভাব ও স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনায় পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে

করোনা মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। তারা বলেন, পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুরে যৌথ বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। 

সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে বলে দাবি করে এই দুই নেতা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেখানে ১১ মার্চে করোনা পরিস্থিতিকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করেছে।  সেখানে সরকার অনেক বিলম্ব করে মার্চের শেষ সপ্তাহে এসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। অথচ ৩০ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি অব ইন্টারন্যাশল কনসার্ন (PHEIC) ঘোষণা করে। অর্থাৎ জাতীয় কৌশল নির্ধারণে আমরা যথেষ্ট সময় পেয়েও সেটিকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছি।

অন্যান্য দেশের তুলনায় দেশে পরীক্ষার হার অত্যন্ত কম বলে উল্লেখ করে গণফোরাম শীর্ষ এই দুই নেতা বলেন, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সরকারের দেওয়া তথ্যে জনগণের কোনও আস্থা নেই। বিলম্বে ও শিথিলতার মধ্য দিয়ে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তার প্রভাবে জনজীবনে সমূহ দুর্ভোগ নেমে এলেও তা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এছাড়া দুর্নীতি ও অদক্ষতার ফলে সরকারি সাহায্যের সামান্য অংশই গরিব ও ঝুঁকিগ্রস্ত মানুষের কাছে পৌঁছেছে।

তারা আরও বলেন, বিশেষ করে যখন সংক্রমণের হার দ্রুত বাড়ছে, এরকম একটি পরিস্থিতিতে জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সুপারিশ উপেক্ষা করে সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জনমনে ব্যাপক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাব এবং স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার ফলে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাছাড়া ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যথাযথ সুরক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে যথা শিগগিরই বেরিয়ে আসতে হবে। সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়লে স্বাস্থ্য খাতের ওপর যে চাপ সৃষ্টি হবে সরকার সেটি কীভাবে মোকাবিলা করবে জনগণ জানতে চায়।

বিএ-১৪