খেলা ডেস্ক

জুন ৩০, ২০২০
০৪:২২ অপরাহ্ন

আপডেট : জুন ৩০, ২০২০
০৪:২৩ অপরাহ্ন

ভারতের সাবেক অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়ের পরামর্শেই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেননি শচীন টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলী। দলের তরুণ ক্রিকেটোরদের সুযোগ করে দিতেই তারা নিজেদের সরিয়ে নেন দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে। দলের জন্য তাদের এই আত্মবিসর্জনকে বিফলে পেলেনি সুযোগ পাওয়া তরুণ ক্রিকেটাররা। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে সেবার বিশ্বকাপ জিতে ভারত। সে সময় বিশ্বকাপজয়ী তরুণদের অনেকের আদর্শ ক্রিকেটার ছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী ও রাহুল দ্রাবিড়। তবে টেন্ডুলকার ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পান। 

এই তিন তারকা কেন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেননি সেটা জানিয়েছেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার লালচাঁদ রাজপুত। দ্রাবিড়ই নাকি সৌরভ ও শচীনকে অনুরোধ জানিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলার। রাহুলের এই প্রস্তাবেই সরে দাঁড়ান শচীন-সৌরভ। ইংল্যান্ড থেকেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচিত খেলোয়াড়েরা জোহানেসবার্গ গিয়েছিল। ধোনির নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতার পর আফসোস করেন শচীন।'

সৌরভ গাঙ্গুলীর বিখ্যাত আত্মজীবনী 'আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ'-এ বলা হয়েছে, রাহুল দ্রাবিড়ের কথাতেই সৌরভ ও শচীন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেননি। কিন্তু সেই আলোচনার কয়েক দিন পরেই দ্রাবিড় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। দ্রাবিড় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন, এটি জানলে সৌরভ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতেন না বলেই আক্ষেপ করেছেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পরপরই দ্রাবিড় সৌরভ ও শচীনকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলার অনুরোধ করেন, 'রাহুল আমাদের বলল, আমরা যা অর্জন করেছি, তা বহু বছর অক্ষুন্ন থাকবে। আমাদের এখন উচিত ভবিষ্যতের দিকে তাকানো। সে আমাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শ দিল।' পরের লাইনেই সৌরভ লিখেছেন নিজের আক্ষেপের কথা, 'আমি সে সময় জানতামই না যে খুব শিগগিরই রাহুল অধিনায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করবে। আমাদের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনার সময়ও সে আমাদের অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা কিছু বলেনি। আমি যদি এ ব্যাপারে তখন বিন্দু বিসর্গও জানতাম, তাহলে অবশ্যই আমি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতাম না।'

এএন/০৫