সিলেট মিরর ডেস্ক
আগস্ট ১২, ২০২০
০৬:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ১২, ২০২০
০৬:৩২ অপরাহ্ন
ভারতের বেঙ্গালুরু শহরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্টকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত ও ৬০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে শহরের উত্তরাংশে সহিংসতার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
স্থানীয় একজন এমএলএ-র এক আত্মীয় ফেসবুকে ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করেছেন এমন অভিযোগে কয়েক হাজার লোক কাওয়ালি বায়রান্ড্র এলাকায় কংগ্রেসের ওই রাজনীতিকের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে।
প্রতিবাদকারীরা এমএলএর বাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে ও আশপাশের সড়কে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। প্রতিবাদকারীরা দমকলের গাড়িও অবরোধ করে রাখে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে এবং কাঁদুনে গ্যাসের শেল ছোড়ে। এতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে ওঠে, জনতা পুলিশের ওপর চড়াও হলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি করে।
টেলিভিশনের ভিডিওতে দেখা যায়, জনতা একটি পুলিশ স্টেশনের সামনে জড়ো হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে, পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে।
এক পর্যায়ে জনতা পুলিশ স্টেশনে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে বলে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওর বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সংঘর্ষের সময় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীও আহত হয়েছেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে অন্তত একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কারফিউ জারি করে পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে এক টুইটে জানিয়েছে বেঙ্গালুরু নগর পুলিশ।
এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত ও প্রায় ৬০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে বুধবার ভোররাতে ঘোষণা করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ।
এক টুইটে পুলিশ কমিশনার কমল পান্ত বলেছেন, মানহানিকর পোস্ট দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত নবীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ ও পাথর নিক্ষেপের সঙ্গে জড়িত থাকায় আরও ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে কংগ্রেসের ওই এমএলএ জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
কর্ণাটক রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসভারাজ বোমানিও একটি ভিডিও বার্তায় আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিএ-১৩