ক্রীড়া প্রতিবেদক
নভেম্বর ১০, ২০২০
০৮:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১০, ২০২০
০৮:৫৫ অপরাহ্ন
ট্রেন্ট বোল্টের দুর্দান্ত বোলিং আর অধিনায়ক রেনাহিত শর্মার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে আ১৩তম আই্এলের চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। এটি তাদের টুর্নামেন্টের পঞ্চম শিরোপা জয়।
মঙ্গলবার আইপিএলের ফাইনালে ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম স্পেলেই ম্যাচে এগিয়ে যায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পরে তাতে যোগ দেন জয়ন্ত যাদব, ন্যাথান কাটারনেইলরা। জাসপ্রিত বুমরাহর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শ্রেয়াস আইয়ার, ঋষভ পান্তের দুই ফিফটির পরও মাঝারি পূঁজি পায় দিল্লি ক্যাপিটালস। অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটে নাগালে থাকা লক্ষ্য পেরিয়ে এবারের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে মুম্বাই।
দিল্লির ১৫৬ রান ৮ বল হাতে রেখেই টপকে মুম্বাই। এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত। খেলেছেন ৫১ বলে ৬৮ রানের ইনিংস।
রান তাড়ায় দারুণ শুরু আনেন রোহিত শর্মা-কুইন্টেন ডি কক। ওভারপ্রতি দশের বেশি রান আনতে থাকেন তারা। প্রথম ৪ ওভারে ৪৫ আনার পর ছন্দপতন। পঞ্চম ওভারে বল করতে এসেই মার্কাস স্টয়নিস ফিরিয়ে দেন ১১ বলে ২০ করা ডি কককে।
পরে সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি ভাঙ্গে রোহিতের ভুলে। বল মিড অফে ঠেলে রান নেওয়ার কলে বিপদে পড়া অধিনায়ককে বাঁচাতে উইকেট ত্যাগ করেন সূর্যকুমার।
অধিনায়কের সঙ্গে মিলে বাকি কাজটা সারতে ফের চওড়া হয়ে যায় তরুণ সেনসেশন ইশান কিশানের ব্যাট। তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে আরও ৪৭ রান। দলকে জয়ের কাছে এনে ক্যাচ দেন রোহিত। তার আগে ৫১ বলের ইনিংসে ৪ ছক্কা, ৫ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করেন তিনি। ইশান ১৯ বলে অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে ট্রেন্ট বোল্টের দারুণ এক ডেলিভারিতে ইনিংস শুরু হয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। বাঁহাতি পেসারের লাফিয়ে উঠা দারুণ এক বলে কিছুই করার ছিল না মার্কাস স্টয়নিসের। উইকেটের পেছনে ক্যাচ যায় তার। তৃতীয় ওভারে আবার আঘাত বোল্টের। এবার আজিঙ্কা রাহানে লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট লাগিয়ে বিদায়। ১৬ রানে ২ উইকেট হারানো দল খানিক পরই ২২ রানে ৩ উইকেটে পরিণত শেখার ধাওয়ানের বাজে শটে। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান অফ স্পিনার জয়ন্ত যাদবের বলে সুইপ করতে গিয়ে হন বোল্ড।
এরপরই প্রতিরোধ শুরু শ্রেয়াস আইয়ার আর ঋষভ পান্তের। পুরো টুর্নামেন্টে ঘুমন্ত পান্ত জাগেন ফাইনালের মঞ্চে। অধিনায়ক শ্রেয়াস ছিলেন অবিচল। ফিফটি পেরুনোর পর রান বাড়ানোর তাড়ায় পান্তের বিদায়ে ভাঙ্গে ৬৯ বলে ৯৬ রানের জুটি।
এরপর শিমরন হেটমায়ারের দিকে তাকিয়ে ছিল দিল্লি। এই ক্যারিবিয়ান এবার ঝড় তুলতে পারেননি। শেষ ৫ ওভারে তাই প্রত্যাশা মতো রান পায়নি দল। অধিনায়ক শ্রেয়াস শেষ পর্যন্ত টিকে থাকায় তারা পেরুতে পারে দেড়শোর গন্ডি। ওই রান পরে মামুলি হয়েছে মুম্বাইর আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দিল্লি ক্যাপিটালস: ২০ ওভারে ১৫৬/৭ (স্টয়নিস ০, ধাওয়ান ১৫, রাহানে ২ , শ্রেয়াস ৬৫*, পান্ত ৫৬, হেটমায়ার ৫, প্যাটেল ৯, রাবাদা ০ ; বোল্ট ৩/৩০, বুমরাহ ০/২৮, জয়ন্ত ১/২৫, কাটারনেইল ২/২৯, ক্রুনাল ০/৩০, পোলার্ড ০/১৩)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৮.৪ ওভারে ১৫৭/৫ (রোহিত ৬৮ , ডি কক ২০, সূর্যকুমার ১৯, ইশান, পোলার্ড ৯, হার্দিক , ক্রুনাল ; অশ্বিন ০/২৮ , রাবাদা, নরকিয়া, স্টয়নিস ১/২৩, প্যাটেল ০/১৬, দুভে ০/২৯)
ফল: মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ফাইনাল: ট্রেন্ট বোল্ট।
এএন/০১