সরকারকে সরাতে ‘গণজাগরণের’ প্রত্যাশা গয়েশ্বরের

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২০, ২০২০
০৩:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০২০
০৩:৩০ অপরাহ্ন



সরকারকে সরাতে ‘গণজাগরণের’ প্রত্যাশা গয়েশ্বরের

সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে ‘গণজাগরণের’ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

তিনি বলেন, ‌‘শুধু একটা সুযোগ একটা পরিবেশের অপেক্ষায় আছি। একটি গণজাগরণের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিদায় করে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র একাত্তরের যে স্বপ্ন সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘দলের যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্য অর্জনে, কোথায় মৃত্যু হবে কোথায় হবে না— সেটা নিয়েও বিএনপির নেতৃবৃন্দ ভাবে না।’

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে শুক্রবার সকালে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আজকের তরুণ সমাজকে বলব, আগামী দিনটা আপনারদের। আপনাদের বয়সে আমরা ‘বাংলাদেশ কেমন দেখব’ সেই কারণে একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু যে বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছিলাম সেই বাংলাদেশ দেখতে পারি নাই এখনো। সেই বাংলাদেশ দেখার যে লড়াই সেই লড়াইয়ে আপনাদের পাশে আমরা আছি। আমরা সামনে থাকতে বললেও আছি, পিছে থাকতে বললেও আছি। অর্থাৎ আমরা কখনোই আপনাদের ছেড়ে যাবো না।’

করোনার আবহে চলতি বছর তারেক রহমানের জন্মদিনে দলের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ছাড়া আনুষ্ঠানিক কোনো কর্মসূচি নেই। তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ মোনাজাত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন উলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক।

অনুষ্ঠানে গয়েশ্বর বলেন, ‘আমাদের নিষেধ আছে— যার জন্মদিন পালন করছি স্বয়ং তার পক্ষ থেকেও আহ্বান আছে যে, কেক কাটা নয়। দোয়া ও পারলে গরিবদের মাঝে কিছু সাহায্য সামগ্রী দেওয়া। কিন্তু আবেগ তো এই নিষেধ মানে না। আজকে কম হলেও ১০ হাজার কেক কাটা হবে। কারণ আবেগের জায়গায় কিন্তু বাস্তবতা পরাজিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদের একমাত্র ঠিকানা তারেক রহমান। খালেদা জিয়া আজকে জেলবন্দি থেকে গৃহবন্দি। এই যে একটি অবস্থা এই অবস্থার অতিক্রম করতে পারে এই তরুণ সমাজ ও যুব সমাজ, যারা যুগে যুগে পরিবর্তন ঘটিয়েছে।’

কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় দোয়া মাহফিলে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান বক্তব্য রাখেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আমিনুল হক, মীর সরফত আলী সপু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, হারুনুর রশীদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, সাদেক আহমেদ খান, কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, নজরুল ইসলাম তালুকদার, এসকে সাদী, মেহিদী হাসান পলাশ, আবদুর রহিমসহ নেতা-কর্মীরা।

এদিকে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে নয়াপল্টনে মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে ৫৬ পাউন্ডের তিনটি কেক কাটা হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৩টায় সুপ্রিম আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হবে। এতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল।

বিএ-০৯