সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
১২:০৩ পূর্বাহ্ন

আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২১
১২:০৩ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়ক সংস্কার না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এ নিয়ে যাত্রীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে মৌখিকভাবে একাধিকবার আবেদন করলেও এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত কোনো প্রতিকার হয়নি। যাত্রীরা পরিবহন শ্রমিকদের কাছে অনেকটা জিম্মি হয়ে প্রতিদিন দ্বিগুণ ভাড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে হতে হয় হয়রানির শিকার।

জানা যায়, ব্যস্ততম ওই সড়কে মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মৌলভীবাজার টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, সমাজসেবার এতিম ও প্রতিবন্ধী মেয়েদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চক্ষু হাসপাতাল, রেডিও পল্লী কন্ঠের অফিস, এম ঈসরাইল এ এম আমীর উচ্চবিদ্যালয়, জিরেনিয়াম ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসহ সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়া ওই সড়ক দিয়ে বিএএফ শাহীন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত যাতায়াত করেন। সবমিলিয়ে ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কমলগঞ্জ, শমসেরনগর, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গলের কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করেন।

এদিকে মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়কে দীর্ঘদিন পর সংস্কারের কাজ অনেকটা সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ওই সড়কের মাতারকাপন এলাকা থেকে আতুরের ঘাট পর্যন্ত নতুন পিচ ঢালাই হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে সংস্কার চলাকালীন সময়ে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ফুড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান খাদেমুল বাশার বলেন, 'সাধারণ যাত্রীদের পাশাপাশি কলেজের শিক্ষার্থীদেরও দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। কলেজে যাতায়াতের সময় ভাড়া নিয়ে প্রতিনিয়ত বাকবিতন্ডা হয়। অধিকাংশ শিক্ষার্থীর পক্ষে ওই ভাড়া দেওয়া অসম্ভব।'

তিনি আরও বলেন, 'গত সোমবার এক সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ১০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ২০ টাকা দাবি করলে আমি এর প্রতিবাদ করি। তখন চালক আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে সম্মান বাঁচাতে ২০ টাকা দিয়ে চলে আসি।'

ওই ইনস্টিটিউটের ষষ্ট পর্বের শিক্ষার্থী আল মিজান বলেন, 'রাস্তা ঠিক হয়ে যাওয়ার পরেও দ্বিগুন ভাড়া গুনতে হচ্ছে।'

স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহসিন বলেন, '২০ টাকা ভাড়ার জায়গায় ৩৫/৪০ টাকা দিতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে অটোরিকশার চালকরা খারাপ ব্যবহার করে।'

মৌলভীবাজার-শমসেরনগর রোডের সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুজা মিয়া বলেন, 'রাস্তা খারাপ থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। তবে জোর করে নয়। আগামী শুক্রবার (আগামীকাল) শ্রমিকরা বসে পূর্বের ভাড়ায় ফিরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।'

জেলা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, 'ব্যস্ততম এই সড়কে এভাবে দফায় দফায় ভাড়া বাড়ানো বেআইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এসএইচ/আরআর-০১