নগরে প্রথম দিন ক্যাপসুল খেয়েছে ১৩ হাজার ৬০১ শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৬, ২০২১
০২:১০ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৬, ২০২১
০২:১০ পূর্বাহ্ন



নগরে প্রথম দিন ক্যাপসুল খেয়েছে ১৩ হাজার ৬০১ শিশু
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু

সারা দেশের মতো গতকাল শনিবার সিলেটেও শুরু হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। প্রথম দিন সিলেট নগরে ১৩ হাজার ৬০১ জন শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খেয়েছে। 

শনিবার (৫ জুন) সকালে নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের শেখঘাট সুখের হাসি ক্লিনিকে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে ক্যাম্পেইন উদে¦াধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, সুখের হাসি ক্লিনিকের চেয়ারম্যান মো. হাসান মাহমুদ। 

এ সময় রোগমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী কোনো শিশু যাতে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। 

সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দিন ১৩ হাজার ৬০১ জন শিশু ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬২৮ শিশু নীল ক্যাপসুল ও ১১ হাজার ৯৭৩ শিশু লাল ক্যাপসুল খেয়েছে। এবার নগরে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৬ হাজার ৩৯৬ শিশুকে নীল ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৬৯ মাস বয়সী (১ থেকে ৫ বছর) ৫৫ হাজার ১০৬ শিশুকে লাল ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

সিসিক জানিয়েছে, আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত ক্যাম্পেইন চলবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নগরের ২৪৭টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম চলবে। এর মধ্যে ইপিআই টিকা কেন্দ্র ১২২টি, নিয়মিত কেন্দ্র ২০টি, অস্থায়ী ৮২টি, ও অতিরিক্ত ২৩টি কেন্দ্র। ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম চালাতে এসব কেন্দ্রে ৪৯৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। এছাড়া সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে টিকা কেন্দ্রসমূহে ৫৪ জন সুপারভাইজার কাজ করবেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘প্রথম দিন লক্ষ্য ছিল ১৫ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর। কিন্তু বৃষ্টির কারণে অনেক অভিভাবক প্রথম দিন বাচ্চাদের টিকাকেন্দ্র নিয়ে আসেননি। তাই প্রথম দিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। তবে আমরা আশাবাদী গত বছরের মতো এবারও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।’

সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এবার আমার ১৫ দিনব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করব। তাই অভিভাবকদের আহ্বান জানাব তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিশুদের টিকাদান কেন্দ্রে নিয়ে আসেন।’

আরসি-০৬