সিলেটে বাড়ছে বায়ূ ও শব্দ দূষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


জুন ০৭, ২০২১
০২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ০৭, ২০২১
০২:০৪ পূর্বাহ্ন



সিলেটে বাড়ছে বায়ূ ও শব্দ দূষণ

বিশ্বে বায়ু দূষণের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পরিমাপকারী সংস্থার আইকিউএয়ারের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। এই দূষণে পিছিয়ে নেই সিলেটও।

সিলেটে বায়ু দূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিন দিন বাড়ছে শব্দ দূষণও। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বায়ু দূষণপ্রবণ এলাকার তালিকায় রয়েছে সিলেট। শব্দ দূষণেও পিছিয়ে নেই সিলেট। 

সিলেটের আবাসিক এলাকার মধ্যে শ্যামলীতে শব্দের সর্বোচ্চ মান ১২৪ দশমিক ১ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন ৫৮ দশমিক ৮ ডেসিবল। সবচেয়ে কম শব্দদূষণ হয় লন্ডনী রোড এলাকায়। এর সর্বোচ্চ শব্দ মান ৯৫ দশমিক ৫ ডেসিবল এবং সর্বনিম্ন ৬০ দশমিক ৭ ডেসিবল। মোটরযানের হর্ন এবং নির্মাণ কাজকে শব্দদূষণের মূল কারণ বলে দায়ী করা হয়েছে। 

তবে, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সিলেটে পরিবেশ অধিদপ্তর আদৌ কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। 

সিলেটের পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে, গত এক বছরে তারা বায়ু দূষণ রোধে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। কেবল ইটভাটা থেকে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ৩৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ২৬টি স্টোন ক্রাশারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে তারা। সবমিলিয়ে গত এক বছরে জরিমানা আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। নিষিদ্ধ পলিথিন, কলকারখানার তরল নিঃসরণ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে কিছু রুটিন অভিযানও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার জানান, ২০১৭ সালে পরিবেশ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত এবং অংশীদারিত্বমূলক কর্মসূচির আওতায় শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ জরিপ করা হয়। এই জরিপ থেকে জানা যায়, সিলেটে সর্বাধিক শব্দদূষণের শিকার করিমউল্লাহ মার্কেট এলাকা। আর সবচেয়ে কম শব্দদূষণ হয় কোর্ট এলাকায়। 

আরসি-০৩