সুইস রূপকথা থামিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক


জুলাই ০৩, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৩, ২০২১
০৫:৫৫ পূর্বাহ্ন



সুইস রূপকথা থামিয়ে সেমিফাইনালে স্পেন
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০


ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ইতহাস গড়া হলোনা সুইজারল্যান্ডের। খেলা হলোনা সেমিফাইনালে। শেষ আটেই সুইস রূপকথা থামিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে স্পেন।

প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচের শুরুতেই আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়েছিল সুইরা। দ্বিতীয়ার্ধে জেরদান শাকিরি গোলে সমতায় ফেরার পরই আবার লাল কার্ডের ধাক্কা। এরপর ১০ জন নিয়েও নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলে ৪৩ মিনিট পার করে দেয় দলটি। এ সময় স্পেনের একের পর এক আক্রমণ ঠেকিয়ে দেন  গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। কিন্তু টাইব্রেকারের গিয়ে সুইসদের শেষ রক্ষা হয়নি। নকআউট পর্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে হারিয়ে চমক দেখানো দলটি প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে ওঠা হয়নি। রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে স্পেন। 

শুক্রবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে সুইজারল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। টাইব্রেকার পরীক্ষায় পাশ করে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনলে ওঠে লুইস এনরিকের দল।

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল স্প্যানিশদের দাপট। গোটা ম্যাচে ৭৩ শতাংশ বল দখলে রাখে স্পেন। গোলবারে ২৮টি শট নেয় লুইস এনরিকের দল, লক্ষ্যে ছিল ১০টি শট। যা চলতি ইউরোতে সর্বোচ্চ। ম্যাচে সুইস গোলরক্ষক ইয়ান সমারের অসামান্য দক্ষতায় বড় ব্যবধানে হারেনি সুইজারল্যান্ড।

গোটা ম্যাচে ইয়ান সমার বল সেভের কৃতিত্ব দেখালেও খুব একটা পরীক্ষায় পড়তে হয়নি স্পেনের উনাই সিমনকে। মাত্র ২৭ শতাংশ বল দখলে রেখে ৮টি শটের ২টি লক্ষ্যে রাখে সুইজারল্যান্ড। তবে টাইব্রেকারে দু’টি সেভ করে হন ম্যাচসেরা। 

ম্যাচের শুরুতেই সুইসদের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। অষ্টম মিনিটে জর্দি আলবা গোলবারের উদ্দেশে বাঁ পায়ে জোরে শট নেন। মিডফিল্ডার ডেনিশ জাকারিয়ার পায়ে লেগে বল জালে জড়ায়।

বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণ অব্যাহত রাখে স্পেন। তবে ৬৮ মিনিটে গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান সুইজারল্যান্ডের এই ম্যাচের অধিনায়ক জারদান শাকিরি। নিষেধাজ্ঞার কারণে ম্যাচে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক গ্রানিত জাকা। তবে ৭৭তম মিনিটে রেমো ফ্রেইলার লাল কার্ড দেখলে আবার খেই হারিয়ে ফেলে সুইজারল্যান্ড। জেরার্ড মরোনোকে ফাউল করলে মাঠ ছাড়তে হয় আতালান্তার এই ফুটবলারকে।

দশ জনের সুইজারল্যান্ডকে পেয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে আলভারো মোরাতা-পাবলো সারাবিয়ারা। তবে চীনের প্রাচীর তৈরি করেন ইয়ান সমার। সুইস গোলরক্ষকের দারুণ সব সেভে ১-১ গোলে শেষ হয় নির্ধারিত সময়। অতিরিক্ত খেলায়ও ম্যাচ নিষ্পত্তি না হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। 

নাটকীয় টাইব্রেকারে শুরুতেই ভুল করে বসেন স্পেন অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস। বার্সা তারকার শট গোলবারে বাধা পেলে আশা জাগে সুইজারল্যান্ডের। নিজেদের প্রথম শটে গোলও পেয়ে যায় সুইসরা। দ্বিতীয় শটে গোল করেন স্পেনের দানি ওলমো। তবে সুইজারল্যান্ডের ফ্যাবিয়ান শার গোল করতে ব্যর্থ হলে ম্যাচে সমতা আসে। নিজেদের তৃতীয় শটে দু’দলই গোল করতে ব্যর্থ হয়। চতুর্থ শটে জেরার্ড মরেনো স্পেনকে এগিয়ে নেওয়ার পর মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে সুইজারল্যান্ড। রুবেন ভারগাস গোল মিস করলে কার্যত ম্যাচ চলে যায় স্পেনের হাতে। পঞ্চম শটে মাইকেল ওয়ারজাবাল গোল করে দলকে জয় এনে দেন।

এএন/০১