বাফুফের এলিট একাডেমির যাত্রা শুরু

খেলা ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
১২:১৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
১২:১৫ পূর্বাহ্ন



বাফুফের এলিট একাডেমির যাত্রা শুরু


ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে বাছাই করা অনূর্ধ্ব-১৫ বছর বয়সী ৫১ জন নিয়ে গত অগাস্টেই শুরু হয়েছিল অনুশীলন। সেই ফুটবলারদের নিয়ে কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ‘এলিট ফুটবল একাডেমি’ শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল রবিবার একাডেমির উদ্বোধন করেন। এই একাডেমি থেকে ‘ভালো মানের’ ফুটবলার উঠে আসার আশাবাদ জানিয়েছেন তিনি। 

বাফুফের এমন উদ্যোগ এবারই প্রথম নয়। ফিফার সহযোগিতায় ২০১৪ সালে অনেক ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সিলেট বিকেএসপিতে একাডেমির কার্যক্রম শুরু করেছিল দেশের ফুটবলের নিয়ন্তা সংস্থাটি। ওই একাডেমির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন সরকারের পাঁচ মন্ত্রী। কিন্তু ফিফার ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক বছরের পর সেই একাডেমি আর চলেনি।

২০১৯ সালে বেরাইদেতে ফর্টিস গ্রুপের সঙ্গে একাডেমি করেছিল বাফুফে। অনেক প্রত্যাশা ছিল এই একাডেমি নিয়েও। কিন্তু প্রত্যাশার বেলুন চুপসে যায় কয়েক মাস পরই!

কমলাপুরে ঘটা করে শুরু হওয়া একাডেমি যাদের নিয়ে, সেই ৫১ জনকে নিয়ে গত ১৬ অগাস্ট থেকে চলছিল আবাসিক অনুশীলন। সম্প্রতি এই স্টেডিয়ামের সংস্কার করা হয়েছে। তাতে খেলোয়াদের থাকার ব্যবস্থাটুকু হয়েছে। একাডেমির জন্য অপরিহার্য সুইমিং, জিমনেশিয়াম, শিক্ষা কার্যক্রম কোনো কিছুই নেই! তারপরও এই একাডেমি নিয়ে আশাবাদী বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

তিনি বলেন, “এটা নতুন যুগের সূচনা। আমরা জানি, একটা একাডেমি দিয়ে আমরা কিছুই করতে পারব না। চীন গত বছর ৩০০টা একাডেমি করেছে। আমরা চীনের মতো আর্থিকভাবে শক্তিশালী নই। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচ থেকে সাতটি একাডেমি করব। বিশ্বের ৯০ শতাংশ ক্লাবগুলো খেলোয়াড় তৈরির দায়িত্ব নেয়, কিন্তু আমাদের ক্লাবগুলো তা করতে সমর্থ নয়। এ কারণে এই দায়িত্ব আমাদের কাঁধে নিতে হয়েছে।”

এএন/০১