ফাইনালে ওঠার মিশনে কাল মাঠে নামছে বাংলার মেয়েরা

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
০১:৪৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
০১:৪৩ পূর্বাহ্ন



ফাইনালে ওঠার মিশনে কাল মাঠে নামছে বাংলার মেয়েরা

দুর্দান্ত খেলছে মারিয়া মান্ডা বাহিনী। সাফ অ-১৯ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও টানা দুই ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে তারা। শুক্রবার ভারতকে হারানোর পর ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।

তবে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ নিশ্চিত করতে হলে শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ড্র করলেই হবে মারিয়াদের। যেখানে প্রতিপক্ষ শ্রীলংকা। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হবে এই ম্যাচটি।

তবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার ম্যাচ শুরুর আগেই ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে স্বাগতিকদের। যদি বিকেল ৩টায় ভারতের বিপক্ষে নেপাল জিতে যায়। তাহলে ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচে শ্রীলংকা হজম করেছে ১৬ গোল। ভুটান, ভারত ও নেপালের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া সেই লংকানদের সামনে স্পষ্টতই ফেবারিট বাংলাদেশ। শুক্রবার ভারতকে ১-০ গোলে হারানো মারিয়া মান্দাদের ফাইনালে যেতে প্রয়োজন মাত্র এক পয়েন্ট।

তিন ম্যাচে শ্রীলংকার পারফরম্যান্স এবং শক্তির বিশ্লেষণ করলে আজ বাংলাদেশ কয় গোলে জিতবে তা নিয়েই হচ্ছে আলোচনা। বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতাগুলোতে বরাবরই সাফল্য বয়ে আনছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৮ সালে অনূর্ধ্ব-১৮ সাফে শিরোপা জিতেছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের মেয়েরা।

এবারের টুর্নামেন্টেও শিরোপা জয়ের ভালো সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। নেপালের সঙ্গে ড্র এবং ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের গ্রাফটা অনেক ওপরে তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমাদের। তিন ম্যাচে নেপালের সমান ৭ পয়েন্ট পেলেও গোলগড়ে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে বাংলাদেশ। আর সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ভারত আছে টেবিলের তিন নাম্বারে।

ভুটান ও শ্রীলংকা টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। এখন ফাইনালে যাওয়ার দাবিদার তিন দলই। তবে বড় কোনো অঘটন না ঘটলে বাংলাদেশের ফাইনাল নিশ্চিতই বলা চলে। তাদের সঙ্গী ভারত না নেপাল সেটাই দেখা যাবে কাল।

তবে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশের কোচ ছোটন। তার কথায়, মেয়েরা গত তিনটি ম্যাচেই ভালো ফুটবল খেলেছে। কালও যদি ওদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারে, তাহলে আমরাই জিতবো। ড্র নয়, জিতেই ফাইনালে যেতে চাই আমরা।

আরসি-০৬