সাত বছর বেশি বাঁচবে ঢাকার নাগরিকরা

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০৮:৪৬ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২২
০৮:৪৬ অপরাহ্ন



সাত বছর বেশি বাঁচবে ঢাকার নাগরিকরা
দাবি ১৬ সংগঠনের

ঢাকায় বায়ু দূষণ না থাকলে একজন নাগরিক আরও প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারবে বলে দাবি করেছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) সমমনা ১৬টি সংগঠন।

আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনসহ (পবা) সমমনা ১৬টি সংগঠন উদ্যোগে ‘বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের প্রধান হুমকি বায়ুদূষণ: বায়ুদূষণ রোধে ধূলাদূষণ বন্ধ কর ও জ্বালানির মান উন্নয়ন কর’ শীর্ষক মানববন্ধনে সংগঠনগুলো এ দাবি জানায়।

সংগঠনগুলো বলছে, ঢাকায় বায়ু দূষণ না থাকলে একজন নাগরিক আরও প্রায় সাত বছর সাত মাস বেশি বাঁচতে পারতো। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭২ বছর ছয় মাস। লাইফ ইনডেক্সের গবেষণার মতে, ১৯৯৮ সালে বায়ু দূষণের কারণে গড় আয়ু কমেছিল প্রায় দুই বছর আট মাস। ২০১৯ সালে সেটি পাঁচ বছর চার মাসে দাঁড়িয়েছে। গবেষণা বলছে, সারা দেশের ৬৪টি জেলার প্রত্যেকটিতেই বায়ু দূষণের হার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী অন্তত তিন গুণ বেশি। বায়ুদূষণ রোধ করতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। অতিদ্রুত আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ পরিবেশ বিপর্যয় ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

এসময় মানববন্ধন থেকে ১৪ দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো: বায়ু দুষণ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, জ্বালানি তেলের মান ইউরো ফোর স্ট্যান্ডার্ড করা, নির্মল বায়ু আইন খসড়া দ্রুত পাশ ও প্রয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণ করা, ইট প্রস্তুতে আধুনিক প্রযুক্তি ও লো সালফারযুক্ত কয়লা ব্যবহার করা, কলকারখানায় বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যানবাহন নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নতমানের জ্বালানি আমদানি ও ব্যবহার করা, ধূলা দূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন সমূহ বাস্তবায়ন এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে তাদের উপর অর্পিত, আইনানুগ দায়িত্ব আন্তরিকতা নিষ্ঠা, সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করা, পরিসেবার অবকাঠামো তৈরি সম্প্রসারণ ও মেরামত করার সময় খননকৃত মাটি ও অন্যান্য সামগ্রী রাস্তায় ফেলে না রেখে দ্রুত সরিয়ে নেয়া এবং দ্রুত রাস্তা মেরামত করা, রাস্তাঘাট ও ফুটপাত নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মেরামত করা।

এছাড়া ভবন নির্মাণ ও মেরামত বা অন্য যে কোন অবকাঠামো নির্মাণের সময় নির্মাণ সামগ্রী ফুটপাত বা রাস্তার পাশে খোলা জায়গায় না রাখা, ধূলা সৃষ্টি করে এমন কোনো সামগ্রী বহনের সময় সঠিকভাবে আচ্ছাদনের ব্যবস্থা নেয়া ও নালা-নর্দমা পরিষ্কার করার পর আবর্জনা রাস্তার পাশে জমিয়ে না রাখা এবং দ্রুততম সময়ে সরিয়ে নেয়া, ধূলা নূষণ ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিষয়ে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকার ও বেসরকারি সংগঠন, গণমাধ্যম এবং সচেতন মহলের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা।

পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনটির চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্রের মহাপরিচালক মাহবুল হক, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিমউদ্দীন, দেবীদাস ঘাট সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি মো. মুসা, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি আমির হাসান মাসুদ, বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট সাইক্লিস্টের প্রধান সমন্বয়ক রোজিনা আক্তার, পরিবেশ উন্নয়ন সোসাইটির সাধারন সম্পাদক মেনন চৌধুরী, সুবন্ধন সামাজিক কল্যাণ সংগঠনের সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা যুব ফাউন্ডেশনের মুখপাত্র মো. ইমরান হোসেন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট'র সিনিয়র প্রোজেক্ট ম্যানেজার জিয়াউর রহমান লিটু, এইচ আর ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমান, মৃত্তিকার সমন্বয়ক খাদিজা খানম, জাতীয় সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনির, গ্রিনফোর্স'র সদস্য মো. ইসমাইল রাকিব প্রমুখ।

আরসি-২০