পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে সার্বিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ড

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
০৪:৩১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৩, ২০২২
০৪:৩১ পূর্বাহ্ন



পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে সার্বিয়াকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় সুইজারল্যান্ড


আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো জমজমাট। স্কোরলাইনে পরিবর্তন এলো বারবার। ওঠা-নামা চলল পয়েন্ট টেবিলেও। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে সার্বিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে জায়গা করে নিল সুইজারল্যান্ড।

জিতলেই শেষ ষোলোর টিকেট নিশ্চিত- সুইসদের সামনে সমীকরণ ছিল পরিষ্কার। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ শুক্রবার রাতে ‘জি’ গ্রুপের শেষ রাউন্ডে তারা জিতল ৩-২ গোলে।

একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্যামেরুন।

ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের সমান ৬ পয়েন্ট। গোল পার্থক্যে গ্রুপ সেরা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি। বিদায় নিয়েছে ক্যামেরুন (৪ পয়েন্ট) ও সার্বিয়া (১ পয়েন্ট)।

প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সুইজারল্যান্ড। ডাবল সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক ভানিয়া মিলিনকোভিচ-সাভিচ। ব্রিল এমবোলোর শট ঠেকানোর পর গ্রানিত জাকার প্রচেষ্টা রুখে দেন তিনি।

একাদশ মিনিটে ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি সার্বিয়া। আন্দ্রিয়া জিভকোভিচের শট পোস্টে লাগে।

২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইসরা। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে রিকার্দো রদ্রিগেসের করা ক্রস ক্লিয়ার করতে পারেনি সার্বিয়া। জিব্রিল সো বল পেয়ে খুঁজে নেন জেরদান শাচিরিকে। সাবেক লিভারপুল মিডফিল্ডারের বাঁ পায়ের শটে বল সার্বিয়ার ডিফেন্ডার স্ত্রাহিনিয়া পাভলোভিচের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

জবাব দিতে বেশি সময় নেয়নি সার্বিয়া। ছয় মিনিট পরই সমতা ফেরায় তারা। বাঁ দিক থেকে দুসান তাদিচের ক্রসে ডি-বক্সে দারুণ হেডে গোলটি করেন আরেক ফরোয়ার্ড আলেকসান্দার মিত্রোভিচ।

৯ মিনিট পর এগিয়েও যায় সার্বিয়া। তাদিচের পাস বক্সে ক্লিয়ার করতে পারেননি সুইস ডিফেন্ডার রেমো ফ্রয়লার। আলগা বল পেয়ে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন দুসান ভ্লাহোভিচ।

অন্য ম্যাচে তখনও গোলশূন্য থাকায় পয়েন্ট টেবিলে চার থেকে দুই নম্বরে উঠে আসে সার্বিয়া।

তাদের সেই স্বস্তি যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৪৪তম মিনিটে ২-২ সমতা ফেরায় সুইজারল্যান্ড। টেবিলেও আবার দুইয়ে উঠে আসে তারা।

ডান দিক থেকে সিলভান উইডমারের পাসে কাছ থেকে বল জালে পাঠান এমবোলো। ক্যামেরুনে জন্ম নেওয়া এই ফরোয়ার্ডের আসরে গোল হলো দুটি।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে দারুণ দলীয় প্রচেষ্টায় আবার এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। এমবোলো খুঁজে নেন রুবেন ভার্গাসকে। এই ফরোয়ার্ডের ফ্লিকে বল পেয়ে গোলটি করেন ফ্রয়লার।

৫৭তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন এমবোলো। কাছ থেকে অবিশ্বাস্যভাবে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন তিনি।

৬৫তম মিনিটে আলেকসান্দার মিত্রোভিচ ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জে পড়ে গেলে পেনাল্টির আবেদন করে সার্বিয়ার খেলোয়াড়রা। রেফারি সাড়া দেননি। প্রতিবাদ জানিয়ে ডাগআউট থেকে মাঠে ঢুকে পড়েন সার্বিয়ার কয়েকজন খেলোয়াড়। একজন দেখেন হলুদ কার্ড। কিছুক্ষণ বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হয় খেলা।

বাকি সময়ে আর পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। বরং শেষ দিকে দুই দলের কয়েক জন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। হলুদ কার্ড দেখেন দুজন।

পুরো ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে হলুদ কার্ড ১১টি। ২০১০ সালের ফাইনালের পর বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে যা সর্বোচ্চ।

কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী মঙ্গলবার লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘এইচ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড।


এএফ/০২