মাঠে বিয়ার নিষিদ্ধ করায় নিরাপদ বোধ করছেন নারী দর্শকরা

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
১০:১৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
১০:১৩ পূর্বাহ্ন



মাঠে বিয়ার নিষিদ্ধ করায় নিরাপদ বোধ করছেন নারী দর্শকরা

কাতারে বিশ্বকাপ নিয়ে পশ্চিমা দর্শকদের ছিলো শতশত অভিযোগ। এই বিশ্বকাপ নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো উচ্ছ্বাস ছিলো না। ‘এক ভয়ঙ্কর দেশ’ হিসেবে তারা কাতারকে বিচেনা করতেন।

কাতারের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নারীর স্বাধীনতা এবং শরীয়াহ আইন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে ছিলো নানা সমালোচনা। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরুর পর থেকে বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। কাতারকে নিয়ে পশ্চিমা দর্শকদের ধারনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করে।

বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে যখন ঘোষণা করা হলো মাঠে অ্যালকোহল পান করা যাবে না, তখন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন পশ্চিমা দর্শকরা। অনেকে বিশ্বকাপ বর্জনের কথাও বলেন। কিন্তু বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষাংশে এসে দেখা যাচ্ছে মাঠে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ থাকার কারণে নারী দর্শকেরা নিজেদের নিরাপদই মনে করছেন।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে স্টেডিয়ামের ভেতর এলকোহল নিষিদ্ধ করায় খেলা দেখতে আসা নারী দর্শকরা অনেক বেশি নিরাপদ বোধ করছেন। তাদের অনেকেরই স্টেডিয়াম ও সামগ্রিক বিশ্বকাপের পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক পূর্বধারণা ছিল।

তাদেরই একজন এলি মর্লসন নামে এক ব্রিটিশ তরুণী। দ্যা টাইমস পত্রিকাকে দেওয়া বিশ্বকাপের আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের সন্দেহ উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন।

প্রথম দুই সপ্তাহে অভিজ্ঞতা শেষে স্টেডিয়ামে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি বিরুদ্ধে 'Hergametoo' ক্যাম্পেইনের পরিচালনা করা এই তরুণী জানালেন, এটা আমাকে স্বীকার করতেই হবে কাতারের সার্বিক বিশ্বকাপ পরিচালন ব্যবস্থা আমাকে অভিভূত করেছে। এখানে নারীর প্রতি কোন ধরনের যৌন হয়রানি, টিজিং বা বেড কমেন্ট আমার চোখে পড়েনি।

মর্লসনের সাথে খেলা দেখতে আসা তার বাবা জানান, আমি মূলত এসেছিলাম মেয়েকে যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে পড়তে না হয় সেটি দেখভালের জন্য। সত্যি বলতে আমার মেয়ে অস্বস্তিতে পড়বে এমন কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন আমরা এখন পর্যন্ত হয়নি হয়নি।

একই অভিমত তার মত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারর খেলা দেখতে আসা আরো অনেক নারীর। তার জানান,অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করে অনেক পুরুষ দর্শকের যে বিরূপ আচরণের মুখোমুখি তারা সচরাচর স্টেডিয়ামে হন কাতার ছিল তার ব্যাতিক্রম। এখানে স্টেডিয়ামের সার্বিক পরিবেশ তাদের স্বস্তি দিচ্ছে।

চারদিক থেকে ধেয়ে আসার নানা সমালোচনার মুখে নিশ্চয়ই এই খবরে কিছুটা হলেও সাহস যোগাবে কাতারকে। মুসলিম দেশটির স্বপ্ন দেখছে তারা এমন বিশ্বকাপ আয়োজন করবে যা আগামী সব বিশ্বকাপের জন্য জন্য একটি রোল মডেল হয়ে থাকবে।

এনএম/০২