নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২০, ২০২৩
০৮:৩৮ অপরাহ্ন

আপডেট : জুন ২০, ২০২৩
০৮:৩৮ অপরাহ্ন

ভোর হলেই ভোটের তোরজোর শুরু হবে। তার আগে পাল্টাপাল্টি কথার যুদ্ধে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল। গত কিছুদিন ধরেই লাঙ্গলের প্রার্থী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কথা বলে যাচ্ছেন। তিনি নির্বাচনে নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় প্রকাশের পাশাপাশি বহিরাগত আনার অভিযোগ করেছেন। তবে তাঁর এসব অভিযোগকে ‘ভৌতিক’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি কোনো প্রার্থীকে নিয়ে সমালোচনা করতে চাই না। মূলত উনার এজেন্ট সংকট। তাই আগেই এসব বলা শুরু করেছেন। এটা ভৌতিক বিষয়।’

নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই দলের প্রত্যেক সেন্টারে শতশত স্থানীয় নেতাকর্মী রয়েছে। সেখানে বহিরাগত আনার প্রয়োজন নেই। এখানে স্পষ্ট করে জানাতে চাই, আমাদের কোনো নেতাকর্মী টু-শব্দও করতে পারবে না।’

আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) বিকেলে নগরের স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তের তিনি এই কথাগুলো বলেন।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমি সকলকে (নেতাকর্মীকে) অনুরোধ করেছি, গায়ে হাত দিলেও আমাদের কেউ পাল্টা জবাব দেবে না। তাই প্রশ্নই ওঠে না এসব করার। আমরা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল একটা নির্বাচন চাই।’

তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা (সাংবাদিকরা) আছেন ১৯০টি কেন্দ্রে। এখানে কি হবে তা আপনারাই দেখতে পাবেন। এটা মূলত গুরুত্ব বাড়ানোর জন্যই তিনি (বাবুল) এসব বলছেন।’

জাপার প্রার্থী অভিযোগ করেছেন তার এজেন্টদের কেন্দ্রে না যেতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমি আসলে কোনো প্রার্থীর নাম নিয়ে সমালোচনা করতে চাই না। এটা আগেই বলেছি। মূলত উনার এজেন্ট সংকট রয়েছে। তাই আগেই এসব বলা শুরু করেছেন। এটা ভৌতিক বিষয়। কোনো প্রার্থীর এজেন্ট থাকলে তাকে যতই হুমকি দেওয়া হোক সে কেন্দ্রে প্রার্থীর জন্য উপস্থিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘মূলত বিষয় হচ্ছে জনগণের সংষ্পর্শে থাকতে হবে। নির্বাচনে দাঁড়ালাম জনগণ সাথে নেই, মনে আতঙ্ক তো থাকবেই। এটা অন্য চিন্তা-চেতনা থেকে বলেছেন।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আগামীকালকে তো ভোটের সময় তাকে (বাবুল) কিছু একটা বলতে হবে। তাই আগাম বলে ফেলছেন।’

আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। কারণ এখানে আমার দল আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমি ১৫ বছর বয়স থেকে দলের রাজনীতিতে যুক্ত। অতীতে এখানে আওয়ামী লীগকে এতটা ঐক্যবদ্ধ দেখিনি। এখানে দলের তরুণ নেতাকর্মী-জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে গিয়েছেন। একবার নয়, পাঁচবার করে গিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও আশ্চর্য হয়েছি, পাঁচতলা-সাততলা বেয়ে ভোটারের বাসায় ওঠে দলের বয়স্ক লোকজন ভোট চেয়েছেন। এটাতে আমি খুবই উৎফুল্ল।’

অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে দল বেশি ঐক্যবদ্ধ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী, আওয়ামী লীগ যদি এক হয় কেউ আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে পারবে না। এবার কিন্তু সিলেটে এটা হয়েছে। মানুষ আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। এটা কিন্তু কাজের ফসল।’

এএফ/০৮