নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২১, ২০২৩
০৭:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২১, ২০২৩
০৯:০৭ অপরাহ্ন
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা চলছে। বিভিন্ন কেন্দ্রের ফলাফল এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে। নগরের ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল নিচে দেওয়া হলো।
১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে সৈয়দ তৌফিকুল হাদী বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। হাদী সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় তাকে দলকে আজীবন বহিস্কার করে বিএনপি।
২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে বিক্রম কর সম্রাট বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর প্রতীক ছিলো লাটিম। ঐ ওয়ার্ডের মোট দুইজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ তোফায়েল আহমদ শেপুল। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ডে টানা চতুর্থ বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন রেজওয়ান আহমদ। ঝুঁড়ি মার্কা প্রতীকে রেজওয়ান আহমদ পেয়েছেন ২৩৫৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক্টর প্রতীকে সাহেদ সিরাজ পেয়েছেন ২৩২৪ ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন শামীম। যিনি লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ। তিনি লাটিম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী ছিলেন দুজন। লাটিম প্রতীকে সাঈদ মো. আব্দুল্লাহ ১ হাজার ৪৮৬ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন। অপর প্রার্থী মো. জাহিদ খান সায়েক। এই ওয়ার্ডে প্রার্থী ছিলেন সিলেট মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান।
৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে জগদীশ চন্দ্র দাশ বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। জগদীশ সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সলর।
৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ মখলিছুর রহমান কামরান। ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে এবার তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ নিয়ে টানা পঞ্চমবারের তিনি কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হলেন।
১০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে আব্দুর রকিব বাবুল (ঘুড়ি প্রতীক) বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
১২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর সিকন্দর আলী। যিনি ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর শান্তনু দত্ত সন্তু। যিনি ঘুড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুমিন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর ছয়ফুল আমিন বাকের। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রাক্টর প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল মুহিত জাবেদ। এই ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এ নিয়ে তিনি তৃতীয় বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রাশেদ আহমদ। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন এ বি এম জিল্লুর রহমান উজ্জ্বল।
১৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এস এম শওকত আমীন তৌহিদ। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২০নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর আজাদুর রহমান। যিনি লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আব্দুর রকিব তুহিন (লাটিম প্রতীক)। এই ওয়ার্ডে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন।
২২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. ফজলে রাব্বী চৌধুরী (মাসুম)।
২৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মোস্তাক আহমদ। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন হুমায়ুন কবির সুহিন। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর তাকবির ইসলাম পিন্টু। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. তৌফিক বক্স লিপন। ঠেলাগাড়ি প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৫৩৮৭ ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট ৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২৭নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল জলিল নজরুল। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৮নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রায়হান হোসেন। যিনি রেডিও প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
২৯নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মাজহারুল ইসলাম শাকিল। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. রকিব খান। টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে তিনি পেয়েছেন মোট ৯৫২ ভোট। এই ওয়ার্ডে মোট ১৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
৩১নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজমুল হোসেন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন রুহেল আহমদ। যিনি লাটিম প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩৩নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন দেলোয়ার হোসেন। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩৪নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন জয়নাল আবেদীন। যিনি ক্যাপ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুড়ি প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। ঐ ওয়ার্ডে মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। জাহাঙ্গীর আলম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। বর্তমানে তিনি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জরিড় রয়েছেন। তিনি প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিল পদে হিরন মাহমুদ নিপু (ব্যাডমিন্টন র্যাকেট) প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন। ঐ ওয়ার্ডের মোট পাঁজজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নিপু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি।
৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন মো. রিয়াজ মিয়া। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মো. হেলাল উদ্দিন। যিনি ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে রেডিও প্রতীকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আলতাফ হোসেন সুমন। ঐ ওয়ার্ডে মোট সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। সুমন সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। দলের আদেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় তাকে দলকে আজীবন বহিস্কার করে বিএনপি। তিনি প্রথম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন।
৪০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন লিটন আহমদ। যিনি ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৪১ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত ফখরুল আলম। যিনি ট্রাক্টর প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
৪২নং ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন মতিউর রহমান। যিনি টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
এএফ/১৩