ভূটানকে হারিয়ে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক


জুন ২৮, ২০২৩
১১:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৮, ২০২৩
১১:০১ অপরাহ্ন



ভূটানকে হারিয়ে ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ


‘ভুটানকে হারিয়ে দেশবাসীকে ঈদের উপহার দিতে চাই।’

ম্যাচের আগের দিন বলা কথাটা রেখেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও তাঁর দল। তাতেই শেষ হলো ১৪ বছরের অপেক্ষার পালা। গত ৫টি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গিয়ে দিশা হারানো বাংলাদেশ অবশেষে পথ খুঁজে পেয়েছে। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে আজ ভুটানকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।  

বাংলাদেশের ফুটবলাররা দেশবাসীকে ঈদের আগে দারুণ এক উপহার দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ফুটবল প্রিয়। ঈদের আগের রাতে জামাল ভূইয়ারা ফুটবলপ্রেমীদের অসাধারণ এক উপলক্ষ্য এনে দিয়েছেন। ২০০৩ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ঈদের আগের দিন হেরেছিল। বিশ বছর পর জামালদের এই জয় সেই দুঃস্মৃতিও খানিকটা কমিয়েছে। লেবানন মালদ্বীপকে হারানোর পর বাংলাদেশের ড্র করলেই হতো ভূটানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ ভূটানের বিপক্ষে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে। মালদ্বীপ ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছিল। পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ আবারও ৩-১ গোলের জয় পেয়েছে।

সাফে বাংলাদেশের অন্যতম প্রাপ্তি শেখ মোরসালিন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে এই ফুটবলার দলের প্রাণভোমরা হয়ে উঠেছেন। গত দুই ম্যাচে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা তাকে দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবহার করেছেন। গত দুই ম্যাচে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম বেশ কয়েকটি সুযোগ মিস করেছেন। তাই আজ ফাহিমের পরিবর্তে মোরসালিনকে একাদশে রেখেছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের।

কোচের আস্থার পূর্ণ প্রতিদানই দিয়েছেন ফরিদপুরের এই সন্তান। ২৫ মিনিটে বক্সের বাইরে দুর্দান্ত এক গোল করে বাংলাদেশকে সমতায় এনেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এত নিয়ন্ত্রিত গোল বাংলাদেশের ফুটবলারদের সহসাই করতে দেখা যায় না। আগের ম্যাচেও মোরসালিন গোল করেছিলেন। নিজে শুধু গোল করতেই নয়, করাতেও সিদ্ধহস্ত। প্রথমার্ধে বাংলাদেশের প্রথম লীডটা এসেছিল মোরসালিনের দারুণ ক্রসেই। রাকিব মোরসালিনের ক্রস রিসিভি করার পর ভূটানের ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রবেশ করে।

ম্যাচের তৃতীয় গোলটি অবশ্য রাকিব হোসেনের অসাধারণ কৃত্তিত্ব। বক্সের মধ্যে রাকিব বলের নিয়ন্ত্রণ অনেকক্ষণ রেখে ডিফেন্ডারের তাড়া উপেক্ষা করে অনেকটা শূন্য কোণ থেকে শট নেন। সাইড পোস্টে লেগে বল জালে জড়ালে বাংলাদেশ আবারও গোল উল্লাস করে।

দ্বিতীয়ার্ধে ভূটানীরা কয়েকবার গোলের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তপু বর্মণের নেতৃত্বে বাংলাদেশের রক্ষণভাগ দ্বিতীয়ার্ধে ভালোই সামলিয়েছে। বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের দ্বিতীয়ার্ধে চারটি পরিবর্তন করেন। পরীক্ষিত স্ট্রাইকার আমিনুর রহমান সজীবকে ম্যাচের তৃতীয় পরিবর্তনে নামান। গত দুই ম্যাচে জামালকে প্রথমার্ধের পরই উঠিয়ে নিয়েছিলেন। আজ অবশ্য তাকে পুরো ম্যাচই খেলিয়েছেন।

প্রথমার্ধের প্রথম বিশ মিনিট ছিল ভূটানের। অসম্ভব গতিময় ফুটবল দিয়ে ম্যাচ শুরু করেছিল ভূটান। ১২ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো এক শটে ম্যাচে লীড আনে ভূটান। মিনিট চারেক পর আরেকটি জোরালো শট ক্রসবারে লাগে। সেই শট ক্রসবারে না লাগলে ম্যাচের দৃশ্যপট ভিন্ন হলেও হতে পারত। তবে আজকের দিনটি যে বাংলাদেশের ।

এসই/০৫