সেই উত্তেজনার আবহে ফের মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ০৫, ২০২৩
১১:৫৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৫, ২০২৩
১১:৫৪ পূর্বাহ্ন



সেই উত্তেজনার আবহে ফের মুখোমুখি ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড

২০১৯ সালের ফাইনালে বাটলার রান আউট করেন গাপটিলক।


২০১৯ সালের ১৪ জুলাই। চার বছরেরও বেশি সময় আগের কথা। লর্ডসে সেদিন যে রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার ঢেউ উঠেছিল, মনে হয় এই তো কদিন আগের ঘটনা! ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার কিছু পর লোমহর্ষক লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটেছিল ইংল্যান্ডের গৌরবান্বিত জয়ে। ১০২ ওভার শেষেও ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারির হিসাবে পিছিয়ে থাকায় হৃদয় ভাঙে নিউজিল্যান্ডের।

সুপার ওভারে মার্টিন গাপটিল ছিলেন স্ট্রাইকে, জোফরা আর্চার তাকে বল করেন। গাপটিলের শট জেসন রয় ধরেন, তিনি জস বাটলারকে বল দেন। ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বাটলার বল হাতে রেখে স্টাম্প ভেঙে দেন। ইংলিশ ক্রিকেটে লেখা হয় বিশ্বজয়ের গল্প। এবার সেই বাটলারই রাজত্ব ধরে রাখার মিশনে নেতৃত্ব দেবেন।

যেখানে শেষ হয়েছিল, চার বছর পর যেন সেই মুহূর্ত থেকেই আবার শুরু হচ্ছে ট্রফির নতুন লড়াই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠছে আরেকটি বিশ্বকাপের। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দুই ফাইনালিস্টের লড়াই। এনিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় আয়োজক দেশের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে না টুর্নামেন্ট।

চার বছর আগের ফাইনালে যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড, তার রেশ আবার ফিরে এসেছে দুই দলই নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে বলে।

আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় মাঠে নামছে।

তবে এই ম্যাচে দুই দলেরই অধিনায়কত্বে এসেছে পরিবর্তন। গত ফাইনালের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন চোট নিয়েও ভারতে এসেছেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে খেলা হচ্ছে না তার। নেতৃত্ব দেবেন টম ল্যাথাম। আর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের নেতৃত্ব দেওয়া এউইন মর্গ্যান আন্তর্জাতিক অবসরে গেছেন গত বছরের জুনে।

তারপরও কিন্তু দুই দলের সেই ম্যাচের স্মৃতি ঘুরেফিরে আসছেই। উপমহাদেশের কন্ডিশনে ইংল্যান্ড কি পারবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের ধারা ধরে রাখতে? নাকি নিউজিল্যান্ড ওই হারের শোধ তুলবে, সেটা বলে দেবে সময়।

অবশ্য এই ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাসে এগিয়ে আছে ইংল্যান্ড। সম্প্রতি ঘরের মাঠে তারা নিউজিল্যান্ডকে শেষ তিনটি ওয়ানডেতেই হারিয়েছে, গত মাসে চার ম্যাচের ওই সিরিজ তারা জেতে ৩-১ এ।

আর বিশ্বকাপে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানও একেবারে কাছাকাছি। আগের দশবারের দেখায় নিউজিল্যান্ড জিতেছে পাঁচটি, ইংল্যান্ড চারটি, অন্যটি হয়েছিল টাই (ফাইনাল)।

এসব অতীত সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা দুই দলের কেউই আমলে নিচ্ছে না। নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না পরবর্তী ম্যাচের বেলায় এসবের গুরুত্ব আছে। মূল বিষয়টা হলো নির্দিষ্ট দিনে নিজেদের সেরাটা উপহার দেওয়া। যদি নিজেদের মানটা বজায় রাখতে পারি, তাহলে বিশ্বের যে কোনও দলকেই আমরা হারাতে পারবো।’

আর বাটলারের মতে নতুন আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নের তকমা অপ্রাসঙ্গিক। গত মাসে নিউজিল্যান্ডকে সিরিজে হারানোর পর ইংলিশ অধিনায়ক বলেছিলেন, ‘আমি অনেকবার বলেছি, আমি আমাদের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখি না। আমরা কোনও কিছু ডিফেন্ড করার চেষ্টা করছি না। আমরা সেখানে গিয়ে বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করবো। আমরাও অন্য দলগুলোর মতো একই অবস্থানে।’

ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলেই ইনজুরির ধাক্কা লেগেছে। উইলিয়ামসনের সঙ্গে দলের মূল পেস বোলার টিম সাউদিকে পাচ্ছে না নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের গত ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় বেন স্টোকস অবসর ভেঙে ফিরলেও এই ম্যাচে শঙ্কায়। নিতম্বের অস্বস্তিতে ভুগছেন তিনি। তার বদলে দেখা যেতে পারে হ্যারি ব্রুককে। তিন তারকাকেই দুই দলের অধিনায়ক দ্রুত ফিরে পেতে আশাবাদী। কারণ তারাই হতে পারেন নিজ নিজ দলের সাফল্যের চাবিকাঠি। 


এএফ/১১