দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ

খেলা ডেস্ক


ডিসেম্বর ০৪, ২০২৩
০৭:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৫, ২০২৩
০৩:১০ অপরাহ্ন



দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল


কাগজে কলমে শক্তিশালী সিঙ্গাপুরকে প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের কোচ। সাবিনারাও ছিলেন বেশ সতর্ক। এতোটাই যে ম্যাচে ছাড় দেননি একটুও। পুরোটা ম্যাচে দাপুটে ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়ে ৮-০ গোলে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। র‌্যাংকিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে ম্যাচে পাত্তাই দিল না বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ১১ গোল হজম করে ফিরতে হচ্ছে সফরকারীদের। সোমবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে তহুরা ও ঋতুপর্ণা করেন জোড়া গোল। একটি করে গোল পান সানজিদা, সাবিনা, সুমাইয়া ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

ম্যাচের ১৬ মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা তহুরা ঝলক দেখান প্রতিভার। গোল করে এগিয়ে দেন বাংলাদেশকে। বক্সের ডান প্রান্তে তহুরাকে ফাউল করলে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। সাবিনার নেয়া শট থেকে বানিয়ে নেয়া বলে হেড করেন পারভিন। তাতেই আরেকবার মাথা ছুঁইয়ে জালের দিশা দেখিয়ে দেন তহুরা।

সেই শোক ভোলার আগেই ১৮ মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন ঋতুপর্ণা চাকমা। সাবিনার নেওয়া কর্নার কিক বক্স থেকে সরাতে চেয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের ডিফেন্ডার। পারেননি, উল্টো ফাঁকা গোলের সামনে নেই বলটি পেয়ে যান ঋতুপর্ণা। নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে তা জালে পাঠান তিনি।

২৪ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তহুরা। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে আসা ক্রসে গোল মুখে শট নেন ঋতুপর্ণা। ঝাপিয়ে পড়ে গোল ঠেকান সফরকারী অধিনায়ক ও গোলরক্ষক বিয়াট্রিস। তবে হাত ফসকে বেড়িয়ে যায় বল। দৌঁড়ে গিয়ে সেটিকে জালে ঠিকানা দেখিয়ে দেন তহুরা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে দলগতভাবে করা আক্রমণ বক্সের মধ্যে প্রতিহত করে সিঙ্গাপুর। তাতে ৩-০ ব্যবধান নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

৫৭ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে পাওয়া বল নিয়ে বাম প্রান্ত দিয়ে এগিয়ে যান ঋতুপর্ণা। গোলের সামনে তহুরাকে আড়াআড়ি দারুণ পাস দেন। তহুরার করা ট্যাপ বিয়াট্রিস ব্লক করলেও ফিরতি বল থেকে স্কোরশিটে নাম ওঠান সানজিদা।

৬২ মিনিটে ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে সানজিদা বল পাস দেন ঋতুপর্ণাকে। সেই বল টেনে নিয়ে গিয়ে জোরালো শটে গোলবারের উপরের বাম কোনা দিয়ে স্কোর করেন ঋতু। তার দ্বিতীয় গোলে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় ৫-০ ব্যবধানে।

৬৫ মিনিটে চমৎকার সুযোগ পায় সিঙ্গাপুর। কিন্তু বাংলাদেশের পরীক্ষিত গোলকিপার রুপনা চাকমা সময়মতো এগিয়ে এসে ভঙ্গ করে দেন আক্রমণ।

৭৫ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ডান পাশ দিয়ে। আড়িআড়ি পাস দেন সাবিনাকে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে ভুল করেননি।

৮৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে ফ্রি কিক নেন সাবিনা। তাতে মাথা ছোঁয়ালেও সুযোগ তৈরি হয়নি। সিঙ্গাপুর ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করার নামে তালগোল পাকিয়ে দেন। বল পেয়ে যান সুমাইয়া তাকাশিমু। এ বদলির জোরালো শট জালে জড়ালে সপ্তম গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ।

অতিরিক্ত সময়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রের আরও এক গোলে ৮-০ ব্যবধানের স্মরণীয় জয় পায় বাংলাদেশ। এবার বাম পাশ থেকে ঋতুপর্ণার বানিয়ে দেয়া বল ট্যাপ করে জালে পাঠান তিনি। 

বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে জার্মান লিগ লান্দেসলিগা খেলা সিঙ্গাপুরের ডানেলে টান এ ম্যাচে মাঠে থাকলেও কিছু করে দেখাতে পারেননি।  ২০১০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানের বিপক্ষে ৯-০ গোলের পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। জালান বেসার স্টেডিয়ামে ওইবার প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘরের মাঠে তাদেরকে দুই ম্যাচেই দাপটের সঙ্গে হারাল বাংলার নারীরা।



এএফ/১২