অসিত বরণের অপসারণের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
১১:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪
১১:১৫ অপরাহ্ন



অসিত বরণের অপসারণের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি


দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারীতা, শ্লীলতাহানি, শিল্পী সম্মানী আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত সিলেট শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার অসিত বরণ দাশ গুপ্তের অপসারণের দাবিতে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটায় সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন সিলেট নগরের বিভিন্ন নাট্য ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলার কালচারাল অফিসারের পদ থেকে অসিত বরণ দাশ গুপ্তের অপসারণ, নতুন কালচারাল কর্মকর্তা নিয়োগ এবং পুরনো এডহক কমিটি বাতিল।

সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গণ এবং সিলেট শিল্পকলা একাডেমিতে সংস্কৃতির সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন সংস্কৃতি সংশ্লিষ্টরা। 


দাবির প্রতি একাত্মতা জানিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্বাক্ষর করেন-কথাকলি থিয়েটারের সভাপতি শামসুল বাসিত শেরো, নাগরিক আন্দোলনের সংগঠক আবদুল করিম কিম, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, নাট্যপরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উজ্জ্বল দাস, কবি ও প্রকাশক শামস নুর, নাট্যকর্মী নীলাঞ্জন দাশ টুকু, নাট্যালোকের সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, প্রকাশক রাজীব চৌধুরী, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মী রাজিব রাসেল, নাট্যশিল্পী উজ্জ্বল চক্রবর্তী, আলোকচিত্রশিল্পী বাপ্পী ত্রিবেদী, নাট্যকর্মী অপু মজুমদার, নাট্যকর্মী অরূপ বাউল, নাট্যকর্মী রনি দাস, নাট্যকর্মী রাজেশ্বরী বনিক, আলোকচিত্রশিল্পী ও সংস্কৃতিকর্মী দেবর্ষী চক্রবর্তী, সংস্কৃতিকর্মী অচ্যুত চক্রবর্তী বর্ষণ, সংগীতশিল্পী সোনিয়া তালুকদার, কবি মালেকুল হক, গবেষক বিজিৎ দেব, জারুল সম্পাদক ও নারী এক্টিভিস্ট  কাজী জিন্নুর, নাট্যকার সুফি সুফিয়ান, কবি জয় ভট্টাচার্য্য, কবি লিটন লিটু, কবি ও প্রাবন্ধিক ওয়াহিদ রোকন, গবেষক বিজিৎ দেব, নাট্য-নির্দেশক আবদুল্লাহ আশরাফ, কবি গীতিকার মেঘদাদ মেঘ, শিক্ষক ও গবেষক আবদুল লতিফ, প্রকাশক কামরুল আলম, প্রকাশক লুৎফুর রহমান তোফায়েল, সংগীত পরিষদের সদস্য মামুন পারভেজ, সাংবাদিক মুনশি ইকবাল, নাট্যকর্মী মামুন খান, গল্পকার ও সংগঠক সাখাওয়াত হোসেন শাকিল, প্রাবন্ধিক আনোয়ারুল ইসলাম, ছড়াকার শাহাদত বখত শাহেদ, কবি  মো. সুয়েজ হোসেন, দুলাল শর্মা চৌধুরী, সংস্কৃতিককর্মী ফারদিন লিয়াকত অপুর্ব, চলচ্চিত্র নির্মাতা লায়েক আহমদ পবন, নাট্যকর্মী পপি দেসহ শতাধিক নবীন ও প্রবীন ব্যক্তি।

উল্লেখ্য যে, অসিত বরন দাশ গুপ্তের সাম্প্রদায়িক আচরণ, নারী শ্লীলতাহানি, শিল্পী-সম্মানী আত্মসাৎ ও ভীতিপ্রদর্শন থেকে শুরু করে নাট্যকর্মীদের শিল্পকলা একাডেমির হল বুকিং না-দেওয়ার নানান অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন তারা। অসিতের একছত্র আধিপত্যের কারণে কোনও সংস্কৃতিকর্মী শিল্পকলা অডিটোরিয়াম ব্যবহারের সুযোগ পেত না, শুধু তার পছন্দের মানুষ ছাড়া। সিলেট শহরের প্রধান অডিটোরিয়াম প্রায় বিকল হবার পরও শিল্পকলায় কোনও সংস্কৃতিকর্মী প্রোগ্রাম করার সুযোগ পায়নি। বেশ কয়েকটা পত্রিকায় তার ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে নিউজসহ তার বিরুদ্ধে নানাজনের অভিযোগপত্র প্রেরণ করা হয়। তাদের দাবি—অসিতকে যথাসময়ের মধ্যে অপসারণ না-করলে তারা এই শান্তিপূর্ণ আচরণে থেকে বের হয়ে কঠিন প্রদক্ষেপের দিকে ধাবিত হবেন। আজকের দরখাস্তের অনুলিপি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় বরাবর প্রেরণ করা হবে।


এএফ/০৬