সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ২৫, ২০২৪
১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২৪
১০:২৫ অপরাহ্ন
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেছেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকে পাথেয় করে আগামী দিনের স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে শোষণ বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা নির্মাণের আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেড় হাজারের উপরে শহীদি আত্মদানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটালেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা নিরসন করা যায়নি।’
আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সিলেট জেলা বাসদ আয়োজিত জনসভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজেকুজ্জামান রতন এসব কথা বলেন।
বাসদ সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্যসচিব প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাসদের জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের আহ্বায়ক মাছুমা খানম, চা শ্রমিক ফেডারেশনের রত্না বসাক, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের মামুন বেপারি, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রুমন বিশ্বাস, সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি মনজুর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন প্রমুখ।
জনসভায় সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন, সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, প্রবীণ সাংবাদিক আল আজাদ, সাংবাদিক জিলন আহমদ, বামপন্থী নেতা উজ্জ্বল রায়, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক সিরাজ আহমদ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) নেতা সঞ্জয় কান্ত দাশ প্রমূখ ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘দেশের জনগণ জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেড় হাজারের উপরে শহীদি আত্মদানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটালেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা নিরসন করা যায়নি। এদেশের মানুষ শোষণমুক্ত একটি সমাজব্যবস্থার স্বপ্ন দেখলেও আজও চরম পুঁজিবাদী শাসন শোষণে শ্রমজীবী মানুষ বিপর্যস্ত, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ও শ্রমিকদের গুলি খেয়ে জীবন দিতে হয়। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে।’
কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগকে পাথেয় করে আগামী দিনের স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা পুঁজিবাদী ব্যবস্থা উচ্ছেদ করে শোষণ বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের আন্দোলনকে বেগবান করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা প্রবর্তন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদান করুন।’
জনসভা শেষে এক বিশাল গণমিছিল বের হয়ে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শারদা হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। জনসভায় চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গণসঙ্গীত পরিবেশন করে।